প্রতারিত হয়ে দুই কোটি খোয়ালেন সানী-মৌসুমীর পুত্র ফারদিন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:১১ | প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:০৭

ঢালিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি ওমর সানী ও মৌসুমীর ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আইটি ব্যবসায় বিনিয়োগ করে দুই কোটি টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

নিশাত বিন জিয়া রুম্মান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন ফারদিন। ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি সামনে এনেছেন এই তারকা পুত্র।

ফারদিন জানান, লাভের আশায় চলতি বছরে সর্বমোট ২ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিশাত বিন জিয়া রুম্মানের হাতে তুলে দেন তিনি। কিন্তু এক মাস লাভ দেওয়ার পরই ভোল পাল্টে ফেলেন রুম্মান। তিনি ফারদিনকে নানাভাবে ঘুরাতে থাকেন বলে অভিযোগ।

বিষয়টি নিয়ে ফারদিন লেখেন, ‘৪০-৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচার করেছেন নিশাত বিন জিয়া। আপনারা হয়তো এমটিএফই এবং এরকম আরও অনেক অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার কথা শুনেছেন। তবে কোনো অ্যাপ নয়, আজকে একজন ভণ্ড প্রতারক এবং অর্থ পাচারকারীর বাস্তব ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।’

ফারদিন লিখেছেন, ‘নিশাত বিন জিয়া রুম্মান নামের এ ব্যক্তির সঙ্গে আমার পরিচয় ২০২২ সালের মাঝামাঝি দিকে। তিনি নিজেই আমাকে দাওয়াত দেন। তারপর থেকেই চেনা-জানা। বিভিন্ন সময় নিশাত নিজে নিজেই তার একটি আইটি ব্যবসার ব্যাপারে আমাকে ও আমার কিছু বন্ধুদের বলতে থাকেন। পরিচয় হওয়ার চার মাস পর আমাকে এবং আমার কিছু পরিচিত মানুষদের সঙ্গে তার একটু বন্ধুত্ব গভীর হওয়ার পরে কিছু নগদ অর্থ ব্যবসায়িক পুঁজি হিসেবে নেওয়া শুরু করেন। যদিও পরে জানা যায়, তার কোম্পানির নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দূরের কথা, কোনো বৈধ ট্রেড লাইসেন্সই নেই।’

অভিযোগে ফারদিন জানান, ১০ থেকে ৩০ শতাংশ মুনাফার ফাঁদে পড়েছেন তিনি। বললেন, ‘আমার টাকাটা এক প্রকার ব্যবসায়িক লোনই বলতে পারেন। তারা এইসব লেনদেন যেন বাংলাদেশ সরকারের চোখে না পড়ে তাই সেগুলো বিটকয়েন অথবা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে করে থাকত। যা আমি পরে জেনেছি। ধাপে ধাপে তাকে ব্যবসায়িক ইনভেস্টমেন্ট ধার আকারে ২ কোটি ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেছি এবং তার বিপরীতে তাকে আমি বলেছি যে, আমাকে সিকিউরিটি হিসেবে আমার ইনভেস্টমেন্ট মূল্যের ব্যাংকের চেক প্রদান করতে হবে। সেই চেক প্রদান করে সে আমার থেকে জানুয়ারি ২০২৩ সাল ২ কোটি ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বুঝে নেন। বিভিন্ন সময় তার কাছে আমার হকের টাকা চাইতে গিয়ে আমাকে এবং আমার অফিসের কর্মচারীদের হয়রানির শিকার হতে হয়।’

অর্থপাচারেরও অভিযোগ আনেন ফারদিন। তার ভাষ্য, ‘নিশাত বিন জিয়া প্রতারণা করে দুবাইয়ে পাচার করেন ৩ লাখ দেরহাম অর্থাৎ প্রায় এক কোটি টাকা এক সপ্তাহের ব্যবধানে খরচ করেন। পরে আরও জানা যায়, তিনি প্রতারণার টাকা দিয়ে তার উচ্চবিলাসী জীবন দেখিয়ে গত ৮ মাসে প্রায় ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং পাচার করেছেন।’

বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফারদিন। তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকা ডিবি অফিসে গত এক মাস আগে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছি। আমার পাশাপাশি সকল ভুক্তভোগীদের আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। অনেকেই এখন মামলা করবে বলে এগিয়ে যাচ্ছেন। চেক দিয়েছে, অর্থ আমাকে প্রদান করতে পারেনি, তাই আমি চেকের মামলা দিচ্ছি। কিন্তু এত প্রতারণা, অর্থপাচার এগুলোর জন্য কি কোনো বিচার হবে না?’

তারকা দম্পতি ওমর সানী ও মৌসুমীর প্রথম সন্তান ফারদিন। তিনি ফিল্ম মেকিংয়ে পড়াশোনা করেছেন। পাশাপাশি যুক্ত আছেন রেস্তোরাঁ ব্যবসার সঙ্গে।

(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/এলএম/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :