হামাসের ১৩০টি সুড়ঙ্গ ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৪:০৩ | প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫০

চলমান যুদ্ধের মধ্যে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অন্তত ১৩০টি সুড়ঙ্গ (টানেল) ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তাদের মতে, এসব সুড়ঙ্গ হামাসের যোদ্ধারা ব্যবহার করতেন।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে, বুধবার একটি টেলিগ্রাম পোস্টে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী হামাসের ১৩০টি সুড়ঙ্গ ধ্বংসের দাবি করেছে। তারা জানায়, সবকটি সুড়ঙ্গই হামাসের যোদ্ধারা ব্যবহার করতেন। হামাসের ব্যবহার করা সুড়ঙ্গ শনাক্ত, উন্মুক্ত ও ধ্বংস করার কাজ অব্যাহত আছে।

সামরিক বাহিনী আরও জানায়, আমাদের সামরিক প্রকৌশলীরা গাজায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা শত্রুপক্ষের অস্ত্র ধ্বংস করছেন। সেই সঙ্গে শত্রুদের ব্যবহার করা সুড়ঙ্গ শনাক্ত, উন্মুক্ত ও ধ্বংস করছেন।

অন্য একটি পোস্টে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, গাজার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেইত হানোউন এলাকায় একটি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করা হয়েছে। সুড়ঙ্গটি একটি বিদ্যালয়ের পাশে ছিল।

ইসরায়েলের হামলার পর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় কেউ প্রবেশ করতে বা বের হতে ইসরায়েলের অনুমতির প্রয়োজন পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় গোপনে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য এসব সুড়ঙ্গ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও হামাস তাদের সশস্ত্র কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সুড়ঙ্গগুলো ব্যবহার করে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় গাজা উপত্যকার স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এই হামলার পরপরই ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে পাল্টা হামলা শুরু করে। গাজায় তাদের অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে।

এক মাসের বেশি সময়ে গাজায় নারী, শিশুসহ সাড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। ইসরায়েলি হামলা থেকে বিদ্যালয়, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির—কিছুই বাদ যাচ্ছে না।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দাবি তোলা হয়েছে। যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে হামাসও। নেতানিয়াহু বরাবর এ দাবি নাকচ করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/০৯নভেম্বর/কেএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :