হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে রাস্তায় আ.লীগ ঘরানার তারকারা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৫১ | প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৪৯

দেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতিবাদে এবার রাস্তায় নামলেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ঘরানার শোবিজ তারকারা। শনিবার সকালে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘ধ্বংসের বিরুদ্ধে শিল্পীসমাজ’- এই ব্যানারে মানববন্ধন করেছেন তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ, ফেরদৌস, তারিন জাহান, শমী কায়সার, মাহিয়া মাহি, খায়রুল আলম সবুজ, তুষার খান, শম্পা রেজা, নিমা রহমান, তানভীন সুইটি, নিপুণ আক্তার, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার, সালাহউদ্দিন লাভলু, মিলন ভট্ট, গায়ক এসডি রুবেল, গায়ক ও সংগীত প্রযোজক ধ্রুব গুহসহ অনেকে।

এদিন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে দেশের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তথ্য তুলে ধরে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করার প্রত্যয় জানান তারা।

মানববন্ধনে চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, ‘আমার বাচ্চারা আজকে বন্ধের দিনে পরীক্ষা দিচ্ছে। এই অবরোধের কারণে তারা অনলাইন ক্লাস করছে। বাচ্চারা যখন এ বিষয়গুলো জানতে চায় আমরা উত্তর দিতে পারি না। তারা ভিন্ন মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠছে। আজকালের শিক্ষার্থীরা হরতাল-অবরোধ চায় না। কারণ তারা স্মার্ট হিসেবে গড়ে উঠছে।’

বর্তমান সরকারের দোষ কী প্রশ্ন করে ফেরদৌস বলেন, ‘তারা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করেছে? এগুলো কারও দোষ হলে আমরা সেই দোষীর পক্ষেই রয়েছি। তাই আগামী নির্বাচনে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে জয়ী করতে চাই।’

অভিনেত্রী নিপুণ বলেন, ‘শেখ হাসিনাতেই আমার আস্থা। আমি অভিনেত্রী থেকে নারী উদ্যোক্তা হয়েছি শেখ হাসিনার কারণেই। আজকে যারা নারী উদ্যোক্তা হয়েছে, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই হয়েছে। কারণ তিনি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কোনো ভ্যাট রাখছেন না। আপনারা যারা হরতাল-অবরোধ দিচ্ছেন, তার কারণে আমাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আপনাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন- আপনারা কি আবারও হরতাল-অবরোধে অস্থিতিশীল দেশ চান? আমরা কোভিডের সময়ও ব্যবসায় এতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হইনি, যতটা এই হরতাল-অবরোধের কারণে হতে হচ্ছে। তাই আমি বলব, আমার মেয়ের নিরাপত্তার জন্য সামনের ৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।’

চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, ‘আজকে আমাদের টেলিভিশনের পর্দায় থাকার কথা থাকলেও আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। এর কারণ হলো আজকে বিএনপি যেই নৃশংসতা সৃষ্টি করেছে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। তারাই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করেছে। তারাই আজকে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে। পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা করছে। হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করছে। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করছে। তাদের এই নৃশংসতা দেশদ্রোহিতার শামিল বলে মনে করি।’

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহী বলেন, ‘আমরা চাই না আর কোনোভাবে বিএনপি এদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করুক। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছি, শিল্পীসমাজ আজকে এই সহিংসতার বিরুদ্ধে রয়েছে।’

শমী কায়সার বলেন, ‘শহীদ পরিবার আজ মাথা তুলে দাঁড়াতে পেরেছে। আমরা দেখেছি এক সময় তাদেরকে এই দেশে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। বাংলাদেশের শিল্পী সমাজ সব সময় সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছে, তারা সত্যকে লালন করে সত্যের জন্য কথা বলেছে, আর সেই সত্যিটি হলো মুক্তিযুদ্ধ। সবাই বলে সংলাপ করেন। কিন্তু যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, স্বাধীন রাষ্ট্রে যারা বিশ্বাস করেনি, স্বাধীন রাষ্ট্রের বিপক্ষে যারা ছিল, তাদের সঙ্গে বসে কখনো দেশ বিনির্মাণের গল্প হয় না।’

অভিনেত্রী তারিন বলেন, ‘আমি এদেশের নাগরিক এবং একজন শিল্পী। একজন নাগরিক হিসেবে আমার চাহিদা দেশের উন্নয়ন, আমার নিরাপত্তা। সেটি কে নিশ্চিত করছে তা বোঝার যথেষ্ট বোধ আমার রয়েছে। আমরা দেখছি একটি দল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-চেতনা নিয়ে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি আরেকটি দল বলছে জনগণের জন্য রাজনীতি করছে, কিন্তু অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষতি করছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিকদের পুড়িয়ে মারছে।’

নির্মাতা গুলজার আহমেদ বলেন, ‘জনগণের জানমাল ধ্বংস করে মানুষের পেটে লাথি মেরে কীভাবে আন্দোলন করে। বিএনপি বলে তারা নাকি জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করে৷ অথচ তারা দিনে আনে দিনে খায় এমন শ্রমিকদের বাসে আগুন দেয়। বিদেশিদের এজেন্ডা বাস্তবায়নেই কাজ করছে।’

(ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/এলএম/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :