ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর ভারতীয় গণমাধ্যমে সমালোচনার ঝড়

দেড় মাসের দীর্ঘ লড়াই শেষে পর্দা নামল আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের। এবারের আসরে ভারতের মাটিতে ভারতকে কাঁদিয়ে শিরোপা জয় করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিজ দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতবে ভারত, সেই প্রত্যাশায় প্রায় দেড় লাখ ভারতীয় সমর্থক এসেছিলেন ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।
কিন্তু কিসের কী। ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে একাই ম্যাচ টেনে নিলেন ট্রাভিস হেড। ১৩৭ রানের ম্যারাথন ইনিংসে আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারতের। প্যাট কামিন্স আগেই বলেছিলেন, পুরো স্টেডিয়াম স্তব্ধ করতে চান তিনি। তবে এদিন যেন চুপ হয়ে গেছে পুরো দেশটাই।
পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম আনন্দবাজার ম্যাচ হারের পেছনে দায়ী করেছে ৫ ক্রিকেটারকে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা কেন অশ্বিনকে খেলাননি সেই প্রশ্ন তুলেছে তারা। এছাড়া যেভাবে তিনি আউট হয়েছেন তার সমালোচনাও করেছে পত্রিকাটি। কাঠগড়ায় তুলেছে লোকেশ রাহুল আর শ্রেয়াশ আইয়ারকেও। রাহুল খেলেছেন ধীরগতির ইনিংস আর ফাইনালে অল্পেই আউট হয়েছেন আইয়ার।
ভারতের হয়ে এদিন সবচেয়ে বেশি ৬৬ রান করেছেন রাহুল। কিন্তু তার জন্য ১০৭ বল খেলেছেন তিনি। মাত্র একটি চার মেরেছেন। মাঝের ওভারে রাহুলের জন্যই রানের গতি কমে গিয়েছিল ভারতের। একই কথা উঠে এসেছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার লেখাতেও। মাঝের ওভারে বাউন্ডারি বের করে না আনায় কড়া সমালোচনা করেছে ভারতীয় ব্যাটারদের।
এনডিটিভিও তাদের প্রতিবেদনে খানিকটা দায় চাপিয়েছে অধিনায়ক রোহিতের উপরেই। ওয়ানডেতে টানা ব্যর্থতার পরও সূর্যকুমার যাদবকে কেন সমর্থন দেওয়া হচ্ছে, তা উঠে এসেছে তাদের আলোচনায়। আবার মোহাম্মদ সিরাজকে বাদ দিয়ে নতুন বলে মোহাম্মদ শামিকে আনার সমালোচনাও করেছে তারা। এবারের বিশ্বকাপে শামি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হলেও সেটা ছিল পুরাতন বলের কল্যাণে। কিন্তু, ফাইনালে কেন তাকে নতুন বলে আনা হলো সেই সমালোচনায় মুখর হয়েছে তারা।
টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের প্রতিবেদনে অজি ক্রিকেটারদের সাফল্য নিয়েই নিজেদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ান ফিল্ডার এবং বোলারদের সাফল্যই প্রাধান্য পেয়েছে তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে। পুরো লেখায় ভারতের গল্পটা যেন ম্লান হয়ে ছিল। শুধু বিরাট কোহলি আর রাহুলের ধীরগতির মাঝের ওভার নিয়ে আলোচনায় ছিল ভারতের অন্যতম শীর্ষ এই পত্রিকাটি।
এছাড়া ৭ম ওভারের পর ভারতের বোলাররা আর কোনপ্রকারের প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। বোলারদের উপরেও সেই দায় চাপিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম। পুরো বিশ্বকাপে ভালো খেললেও ফাইনালের এমন নখদন্তহীন বোলিংয়ের জন্য সমালোচনা সইতে হচ্ছে শামি-বুমরাহদের।
(ঢাকাটাইমস/২০ নভেম্বর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন