নজরুলসংগীতের সুর বিকৃতি: প্রসঙ্গ এ আর রহমান

আলী হাসান, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২৮ | প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:২৪

মানবসভ্যতায় নিরন্তর চর্চিত চিরায়ত ও কালোত্তীর্ণ যেকোনো বিষয়কেই সাধারণত ধ্রুপদী বলা হয়ে থাকে। ধ্রুপদী কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নয়- ধ্রুপদী হলো একটি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি বা একটি আঙ্গিক। অর্থাৎ শিল্পের কালোত্তীর্ণ বিষয়টিকে কোন পরিমাপের মানদণ্ডে দেখতে হবে সেই বিশেষ আঙ্গিকটিই হতে পারে ধ্রুপদী।শিল্প-সাহিত্যের ক্ষেত্রে এই ধ্রুপদী শব্দটি বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। ধ্রুপদী নামীয় বিশেষ ঘরানার বাইরেও জননন্দিত, যুগের নির্বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এবং মানুষের শতাব্দী পরম্পরায় শৃঙ্খলমুক্তির চেতনাদীপ্ত জনরুচির কোনো কোনো চিরায়ত ও কালজয়ী বিষয়ও হয়ে ওঠতে পারে ধ্রুপদী পর্যায়ের গোত্রভুক্ত। বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ তেমন ধরনের একটি ধ্রুপদী জাতের বিশেষ সংগীত। শৃঙ্খল ভাঙার মুক্তির গান হিসেবে এই সংগীতটির সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে এমন কোনো সংগীত তাবৎ বিশ্বের কোথাও আছে কি না সন্দেহ। প্রায় দুইশ বছরের ইংরেজ ঔপনিবেশিকতার গোলামির বেড়াজাল থেকে ভারতবাসীর মুক্তির তীব্র আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পেয়েছে এই সংগীতটির কথা ও সুরের তীব্র আবেদনের মধ্য দিয়ে। বাঙালির স্বাধীনতার প্রশ্নে তেইশ বছরের পাকিস্তানি শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধেও এক ঝাঁঝালো হুংকার সৃষ্টি করেছিল এই অমর সংগীতটি। সমস্ত ভারতীয়র ক্ষেত্রে যদি নাও বলা হয় কিন্তু শুধু বাঙালির জাতীয় জীবনের নিরন্তর আন্দোলন-সংগ্রামের চেতনাদীপ্ত পাথেয় হিসেবে এমন প্রভাবশালী ও সময়োপযোগী সংগীত আর দ্বিতীয়টি নেই। জাতি-রাষ্ট্রের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন দেশে জাতীয়সংগীত হিসেবে যখন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’কে নির্বাচন করেন ঠিক তখনই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকেও বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে নির্বাচন করেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য ও সংগীত আমাদের জাতীয় সম্পদ হিসেবেই পরিগণিত। কিন্তু অতীব বেদনাদায়ক যে- নজরুল রচিত ‘কারার ঐ লোহকপাট, ভেঙ্গে ফেল কররে লোপাট’ গানটির সুরবিকৃতি করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সুরকার ও অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক ভারতের এ আর রহমান। এটা তিনি ‘পিপ্পা’ শিরোনামের একটি সিনেমার মধ্যে ব্যবহার করেছেন— যে সিনেমাটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছে। একটি কালজয়ী সংগীতের সুর যা প্রায় শত বছরের বেশি সময় ধরে বাঙালির প্রাণে চরম উদ্দীপনামূলক দিকনির্দেশনা হয়ে চির জাগরুক মানদণ্ডে অহর্নিশ বিরাজমান; সেরকম একটি ক্লাসিক বিষয়ের বিকৃতি কী করে মেনে নেবে জাতিসত্তা ও সংস্কৃতি সচেতন বাঙালিসকল! এবার গানটির সৃষ্টি-প্রেক্ষাপট নিয়ে একটু আলোচনা করা যেতে পারে।

‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গানটি লেখা হয় ১৯২১ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জেলযাত্রার পরে। দেশবন্ধুর স্ত্রী বাসন্তীদেবী তখন ‘বাঙ্গলার কথা’ সাপ্তাহিক পত্রিকার দায়িত্ব নিয়েছেন। বাসন্তীদেবীর অনুরোধে সাড়া দিয়েই নজরুল গানটির কাব্যরূপ তাঁর কাছে পাঠিয়ে দেন। ‘ভাঙার গান’ শিরোনামে ‘বাঙ্গলার কথা’ পত্রিকার ‘২০ জানুয়ারি ১৯২২’ সংখ্যায় তখন প্রকাশিতও হয় এই গান। গানটির সুরারোপ করেন কাজী নজরুল ইসলাম স্বয়ং। এক্ষেত্রে তিনি বেছে নেন সামরিক মার্চ বা প্যারেডের সুর। ইংরেজ কর্তৃক ‘ভাঙার গান’ বাজেয়াপ্ত হলে ২৫ বছর গানটির দালিলিক অস্তিত্ব হারিয়ে যায়। কিন্তু গানটি তখন ঘুরেছে জেল থেকে জেলে। ১৯২৯ সালে অ্যালবার্ট হলে নজরুলকে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ঘোষণা করেন—‘নজরুলের গান গাওয়া হবে যুদ্ধক্ষেত্রে, কারাগারে, আন্দোলনে, সংগ্রামে সর্বত্র।’

ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ‘ভাঙার গান’ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৯ সালে। পরে গানটি রেকর্ড করেন গিরীন চক্রবর্তী। তারপর ‘চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন’ সিনেমাতে গানটি ব্যবহৃত হয়। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গানটি রচিত হয়েছে বটে কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও এই গানটি অসামান্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে সকলের মধ্যে। ১৯৭০ সালে জহির রায়হান পরিচালিত বিখ্যাত ‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্রে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে কারারুদ্ধ রাজনৈতিক বন্দিরা গায় ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গানটি। আজও এই গান মুক্তিকামী বাঙালির সংগ্রামী চেতনার অনন্ত উৎস হয়ে আছে।

এখানে দেখা যাচ্ছে— গানটি শুধু ‘পিপ্পা’ শিরোনামের সিনেমাতেই প্রথম ব্যবহৃত হয়নি; এর আগে দুইটি সিনেমায়ও ব্যবহৃত হয়েছে। সেখানে গানটির অবিকৃত রূপ বজায় রাখা হয়েছে শুধু নয়; পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রাসঙ্গিকতাপূর্ণভাবে গানটির যথাযথ ব্যবহারও করা হয়েছে।

এটা মনে করা মোটেও অসংগত নয় যে— যেকোনো উচ্চাঙ্গের রচনা ঐ নির্দিষ্ট অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর শিল্প-সাহিত্যে ও জীবনাচারে বিভিন্নভাবে বারবার ফিরে ফিরে আসে। তখন সমকালীনতার প্রেক্ষাপটে যেকোনো জায়গায় উপযুক্ত ও প্রাসঙ্গিক শিল্পাচারে তা ব্যবহৃতও হতে পারে কিন্তু তা হতে হবে অবশ্যই অবিকৃতভাবে। কালোত্তীর্ণ কোনো শিল্পের অবয়ব কখনোই অসম্পূর্ণ থাকে না যে তাকে কোনোকালের কোনো এক নির্মাতা এসে সম্পূর্ণতা দিবে। ধ্রুপদী শিল্প সবসময়ই অখণ্ড আবেদনে পূর্ণতা প্রকাশে ব্যাকুল। একটি ধ্রুপদী শিল্পের কন্টেন্টকে কখনো ভাঙা যায় না। বলার অপেক্ষা রাখে না যে— একটি সংগীতের মূল কন্টেন্টই হলো তার সুর; কথা নয় কোনোভাবেই। কথা হলো গানের কাঠামো আর সুর হলো আত্মা। সুর ছাড়া গানের বাকি অবয়বকে গীতিকবিতা বলা হয়ে থাকে— গান বা সংগীত বলা হয় না। একটি গানকে তখনই সংগীত বলা হবে যখন তাতে আদি-মধ্য-লয় সমন্বিত একটি সুর-সংগতি বজায় থাকবে। সুরই সংগীতের আসল কন্টেন্ট বা মূল নিয়ামক। একটি ক্লাসিক বিষয়ের কন্টেন্ট ভেঙে কোনো এক্সপেরিমেন্ট করা চলে না। তাতে ধ্রুপদী সম্পদের বিনষ্টি ঘটে। এটা হলে একটি জাতির উৎসমূল ও মৌলিক স্থানচ্যূতির দায় বহন করতে হয় তার নাগরিকগণের।

মূলত এই নিবন্ধন রচনাকারীর বলবার বিষয় এটা যে— কোনো একটি শিল্প যখন শিল্পমান উত্তীর্ণ হয়ে চিরায়ত অবয়ব ধারণ করে অর্থাৎ ধ্রুপদী শিল্পের মর্যাদায় আসীন হয় তখন সেই শিল্পস্রষ্টা কর্তৃক নির্ধারিত ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া ব্যাকরণ ভাঙার কোনো এখতিয়ার নেই কারো। শুধু বাঙালির নয়— বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানবমনীষা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এতদ্বিষয়ে তাঁর স্পষ্ট সিদ্ধান্ত উচ্চারণ করেছেন তাঁর রচনাসম্ভারের একাধিক স্থানে। তাঁর নিজস্ব স্বরলিপি তৈরিকৃত সংগীতভুবনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন— ‘আমি তো আমার গানে এমন কোনো ফাঁক রাখিনি যে অন্য কেউ এসে সেটা ভরিয়ে দেবে।’ এই একটি বাক্যের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ কোনোভাবেই একটি বাক্যে শেষ হওয়া সম্ভব নয়— তা একটি আস্ত গ্রন্থ রচনা করার দাবি রাখে নিশ্চয়ই। তবে এটা সহজেই অনুমেয় যে— রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক স্বরলিপিকৃত কোনো একটি রবীন্দ্রসংগীতের স্বরলিপি ভেঙে নতুন সুর দিতে যাওয়া বা আধুনিক ইংরেজি ভাষ্যে ‘এক্সপেরিমেন্ট’ করতে যাওয়ার মতো এমন নির্বুদ্ধিতা আর নেই। মনে রাখতে হবে— রবীন্দ্রনাথ সারা বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্প রসিকজনদের একজন। ‘ধান বানতে শিবের গাজন’ গাওয়ার রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গটি এখানে জোর করে আরোপ করার অর্থই হলো এটা যে— বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গানেরও কি কোনো ফাঁক বা কমতি-খামতি ছিল যেটা এ আর রহমানের মতো কোনো দিগ্বিজয়ী সংগীত পরিচালক এসে সে ফাঁক পূরণ করে দেবে! কাজী নজরুলের গানটিও কি রবীন্দ্রনাথের নিজস্ব শিল্পসৃষ্টির ব্যাকরণ সিদ্ধতার বিষয়ে সমানভাবে প্রযোজ্য নয়?

তবে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে— তা নিয়ে কালে কালে কোনো শিল্পস্রষ্টা নতুন কিছু ভাবতে বা পরীক্ষামূলকভাবে কিছু করতে পারবে না। সেটা পারবে নিশ্চয়ই; তবে সেটা হতে হবে গায়কি নিয়ে। গায়কি নিয়ে নতুন কিছু সবসময়ই চলমান থাকবে এবং এটা যেকোনো উচ্চাঙ্গ মাপের শিল্পে আরও বেশি করে প্রযোজ্য হতে পারে। স্বরলিপিসৃষ্ট একটি সংগীতের সুর কখনো বদলানো যায় না কিন্তু তার গায়কি বদলানো যায়। গায়কভেদে গায়কি বদলে যায়। এজন্য আমাদের একটি গানই একাধিক শিল্পীর কণ্ঠে ভিন্ন-ভিন্ন আস্বাদ তৈরি করে; ভিন্ন-ভিন্ন রকমের সুরসংগমে সিক্ত হই আমরা। মূলত সুর অবিকল কিন্তু গায়কি হয়ে থাকে পরিবর্তনশীল। যে এই দ্বন্দ্বকে ধরতে পারে না সে প্রকৃত শিল্পরসিক নয়। প্রসঙ্গান্তরে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের কথা এখানে প্রযুক্ত করা যেতে পারে। নাটকের পাণ্ডুলিপি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন— ‘নাটকের টেক্সট নাট্যকারের এবং তার সংলাপগুলোও নাট্যকার সৃজিত কিন্তু অভিনেতাভেদে সংলাপের টেক্সট ঠিক রেখে ‘সাব-টেক্সট’গুলো হয়ে ওঠবে অভিনেতৃবর্গের নিজস্ব সম্পদ।’ মূলত তাই-ই; একই সংলাপের ভিন্ন-ভিন্ন সাব-টেক্সটগুণে অভিনেতৃবর্গ নিজস্ব শৈলী প্রদর্শন করে হয়ে ওঠে ভিন্ন-ভিন্ন হৃদয়নন্দিত অভিনেতা-অভিনেত্রী।

জগৎবিখ্যাত সুরস্রষ্টা ও সংগীত পরিচালক এর আর রহমান চিরায়ত একটি টেক্সটে ভেঙে তার শিল্পসৃজনমাত্রার অপরিপক্বতাকেই প্রকাশ করেছেন। তাঁর বিবেচনায় আনা প্রযোজন ছিল যে— কালজয়ী শিল্পস্রষ্টা নজরুলও মহামনীষী রবীন্দ্রনাথের মতো তাঁর সংগীতে কোনো ফাঁক রেখে যাননি। তিনি তাঁর যন্ত্রাণুষঙ্গ ব্যবহারে, সংগীত পরিচালনায় এবং শিল্পীদের গায়কিমাত্রায় নতুনত্ব আনতে পারতেন। তা না করে শত বছর বয়সি একটি কালজয়ী সুরকে বিকৃত করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিলেন। তাঁর এহেন নেতিবাচক সুর-কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ-ভারতসহ বিশ্বজুড়ে অগণিত বাংলা ভাষাভাষী মানুষ যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বিশ্বজুড়ে এই অপকর্মটির জন্য তাঁর ক্ষমা চাওয়ার এবং গানটি সংশোধন করার জন্য জোর দাবি ওঠেছে। এখনো পর্যন্ত (২৪ নভেম্বর, ২০২৩) এই আন্তর্জাতিক সংগীত পরিচালক ক্ষমা চেয়েছেন কিংবা ‘পিপ্পা’ ছবিতে গানটি সংশোধন করেছেন এমন কোনো নজির পাওয়া যায়নি। যদিও তাঁর হয়ে এই বিতর্ক মাথায় রেখে ‘পিপ্পা’ ছবির অন্যতম প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় সামাজিক মাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন— ‘...গানটির ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে শ্রদ্ধা জানানোই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল। গানের কথা ব্যবহার এবং সুরের পরিবর্তন চুক্তি অনুযায়ী করা হয়েছে।...আমরা মূল গানটিকে ঘিরে শ্রোতাদের আবেগকে সম্মান করি। শিল্প যেহেতু ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভরশীল, সেখানে আমাদের পদক্ষেপ যদি কারো আবেগে আঘাত করে থাকে, তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’ ‘পিপ্পা’ ছবির পক্ষ থেকে এই নমনীয়তাকে নিশ্চয়ই ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা সংগত। কিন্তু ছবিতে ব্যবহৃত বিকৃত সুর সংবলিত গানটি পরিবর্তনের কোনো বিকল্প আছে কি? একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় সিনেমা শুধু একটি ধ্রুপদী মানের সংগীতের সুর-বিকৃতির জন্য মানুষের কাছে অনাদরণীয় হয়ে ওঠবে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিশ্বজুড়ে অগণিত শিল্পপ্রাণ বাঙালির হৃদয়ের দাবি উপেক্ষা করা মোটেও উচিত নয় অস্কার বিজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের।

আলী হাসান: সাংবাদিক, কলাম লেখক, সংস্কৃতিকর্মী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :