৬৫০০ নিখোঁজ ফিলিস্তিনিকে উদ্ধারে বৈশ্বিক সহায়তা চায় গাজা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৯

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল হামলায় শুরুর পর থেকে নিখোঁজ হওয়া কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিকে খুঁজে বের করতে এবং উদ্ধার করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গাজার মিডিয়া অফিস। খবর আনাদোলু।

গাজার মিডিয়া অফিসের প্রধান ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বলেছেন, ‘সিভিল ডিফেন্স দলগুলো এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বহু মরদেহ উদ্ধার করছে এবং গাজা উপত্যকার দক্ষিণ থেকে উত্তরে যাওয়ার রাস্তাগুলো থেকেও মরদেহ উদ্ধার হচ্ছে।’

তিনি জানান, গাজায় এখনও প্রায় ৬ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি নারী ও শিশু রয়েছে। তারা হয় ধ্বংসস্তূপের নিচে আছেন বা তাদের ভাগ্যে ঠিক কী ঘটেছে তা এখনও অজানা।

তিনি আরও বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকা লোকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য তাদের সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি এবং জ্বালানি দরকার।

একইসঙ্গে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নিখোঁজ ব্যক্তি বা তাদের মৃতদেহ বের করার জন্য ‘প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং ধ্বংসাবশেষ অপসারণে বিশেষজ্ঞ দল সরবরাহ করতে’ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন আল-থাওয়াবতা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপর থেকেই গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গত দেড়মাস ধরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি শিশু ও নারী রয়েছেন। এছাড়া কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

এদিকে গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধবিরতির ষষ্ঠ দিন অর্থাৎ শেষদিনে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন আরও ৩০ ফিলিস্তিনি। বিনিময়ে আরও ১৬ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।

ষষ্ঠ দফায় মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের মধ্যে ১০ জন ইসরায়েলি ও ৪ জন থাই ও ২ জন রুশ বংশোদ্ভুত ইসরায়েলি নাগরিককে রয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে চূড়ান্ত পর্যায়ে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে বুধবার রাতে মুক্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ নভেম্বর থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চারদিনের একটি যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। পরে সেটি আরও দুদিন বাড়ানো হয়। বুধবার বর্ধিত যুদ্ধবিরতির শেষ দিন থাকলেও এখন পর্যন্ত তা আর বাড়ানো হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :