যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে বিআরটিসি নিয়ে একগুচ্ছ পরামর্শ

সড়কে গতি বজায় রাখা, লক্কড়-ঝক্কর গাড়ি না চালানো, পুরনো গাড়ি রং করা, চালক ও সহকারীদের যাত্রীদের সঙ্গে ব্যবহারে নমনীয় হওয়াসহ একগুচ্ছ পরামর্শ উঠে এসেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সেবার মানোন্নয়ন গণশুনানিতে।
বুধবার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁও বিআরটিসি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে এই গণশুনানির আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। গণশুনানিতে অভিযোগ ও পরামর্শ দাতাদের কথা শুনে উত্তর দেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। গণশুনানিতে বিআরটিসির কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
গণশুনানিতে বাংলাদেশ রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফেরদৌস খান বিআরটিসির সার্ভিসের মান বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সার্ভিস শব্দ বলতে যা বোঝায় বিআরটিসির উচিত সেগুলো মেনে চলা। বিশেষ করে চালক ও সহকারীদের উচিত হবে যাত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনিক হাসান বিআরটিসির বাসে জিপিএস সার্ভিস ট্রাকার যুক্ত করার কথা বলেন। এ সময় চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে ১ হাজার ২৫০টি গাড়িতে জিপিএস লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি গাড়িতে ভিডিও সংযুক্ত করা হয়েছে।
জামিল হোসেন নামে একজন জানান, চালক ও সহকারীদের স্মার্ট হতে। এতে করে যাত্রীসেবা বাড়বে। এর উত্তরে চেয়ারম্যান জানান, ২০১২ সালের পর এই প্রথম তার সময়ে চালক ও সহকারীদের দুই সেট শীত ও গ্রীষ্মকালীন পোশাক দেওয়া হয়েছে। আস্তে আস্তে এটা হবে। এর বাইরে বিআরটিসির ৭০ ভাগ গাড়িতে রং করা হয়েছে।
সংবাদকর্মী শিমুল খান বলেন, রাস্তায় বিআরটিসির গাড়ি মাঝে মাঝে বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। তখন চালককে বললে তারা খারাপ ব্যবহার করে থাকেন। এসব সমস্যা সমাধানে বিআরটিসির বাসের মধ্যে হটলাইনযুক্ত নম্বর ব্যবস্থা চালু করলে ভালো হবে।
গণশুনানিতে চালক প্রশিক্ষণ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাস বাড়ানো ও সময় কমানো নিয়ে অভিযোগ আসে।
এ সময় সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, বিআরটিসির সার্ভিস এখন আগের থেকে অনেক ভালো অবস্থায় এসেছে। তারা চেষ্টা করছে খুব দ্রুত বাকি সমস্যাগুলোর সমাধান করতে। লাইসেন্স করতে দালালের কাছে যা যেতে পরামর্শ দেন। সমন্বয় করে কিছু জায়গায় বাস বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান জানান, যে প্রকল্প শেষ হয়ে যাচ্ছে সেগুলোর বিকল্প খুব শিগগির চালু হবে। এর মধ্যে রোড সেফটি ও বিআরটিসির নিজস্ব চালক প্রশিক্ষণ প্রকল্প রয়েছে যা জানুয়ারিতে শুরু হবে।
(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/এলএম)

মন্তব্য করুন