ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও মার্কিনি দ্বৈতনীতি

ফকির ইলিয়াস
 | প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:২৭

মাত্র কয়েকদিন যুদ্ধবিরতি দিয়ে ফিলিস্তিনে আবারও নারকীয় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিরীহ মানুষকে যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে তা বিশ্ববিবেককে দংশন করছে বার বার! তারপরেও সর্বত্র যেন পিনপতন নীরবতা!

শুধুমাত্র ৩রা ডিসেম্বর ২০২৩-এর চব্বিশ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপত্যকার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক। ৭ দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে গাজায় ফের বোমা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। উপত্যকার ৪০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে তারা।

উত্তর গাজার পর এখন উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সংঘাতের শুরুতে উত্তর গাজায় হামলা চালানোর সময় সাধারণ মানুষকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে চলে গেলে নিরাপদ থাকা যাবে। কিন্তু এখন এই দক্ষিণ গাজাতেই হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রাণহানি হচ্ছে।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলিকে ফিরিয়ে নেওয়া, ইসলামপন্থি আন্দোলনকে নির্মূল করাসহ 'সব লক্ষ্য যতক্ষণ না আমরা অর্জন করি, ততক্ষণ গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে'।

কিন্তু কথা হচ্ছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গণহত্যা করছে কেন? কেন তারা যুদ্ধের নিয়ম মানছে না? কারা তাদের এত শক্তি জোগাচ্ছে? এই জঘন্য হামলাযজ্ঞের মাঝেই, হঠাৎ ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের শান্তি, নিরাপত্তা বা স্থিতিশীলতা নষ্টে জড়িত বসতি স্থাপনাকারী ইসরায়েলিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ৫ই ডিসেম্বর ২০২৩, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ ঘোষণা দিয়েছেন।

এর এক দিন আগেই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছিল, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা বিভিন্ন সময় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। এতে ভূমি হারাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। তবে এসব বন্ধে ইসরায়েলি প্রশাসন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কিন্তু এসব কথাতে কি কর্ণপাত করছে ইসরায়েল? ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ব্লিঙ্কেন লিখেছেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর নতুন একটি ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করছে।

পশ্চিম তীরে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্টের পেছনে যাঁরা জড়িত থাকবেন, তাদের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে। শুধু তা-ই নয়, পশ্চিম তীরে সাধারণ মানুষের ওপর নাশকতা করা, তাঁদের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা পাওয়ার সুযোগ থেকে যাঁরা বঞ্চিত করবেন, তাদেরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে এ মার্কিনিরাই বলেছিল, ইসরায়েলিরা বিনা ভিসায় আমেরিকা আসতে পারবেন! ইসরায়েলিদের যুক্তরাষ্ট্রে ভিসামুক্ত প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি গত ২৭শে সেপ্টেম্বরই জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ সুবিধা চালু হতে সর্বোচ্চ দুই মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছিল তারা। তবে ৭ই অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত শুরু হওয়ার সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই তা কার্যকর করে ওয়াশিংটন।

অবশ্য গত নভেম্বরে ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ‘দ্য ইউএস ওন্ট ব্যাক ডাউন ফ্রম দ্য চ্যালেঞ্জ অব পুতিন অ্যান্ড হামাস’- শিরোনামের ওই নিবন্ধে বাইডেন বলেন, পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা করা ‘চরমপন্থীদের’ বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে প্রস্তুত।

ওই নিবন্ধে জো বাইডেন বলেছিলেন, ‘যেহেতু আমরা শান্তির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, গাজা ও পশ্চিম তীরকে একটি একক শাসনকাঠামোর অধীন পুনরায় একত্রিত হওয়া উচিত। শেষ পর্যন্ত একটি পুনরুজ্জীবিত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের অধীন থাকা উচিত। কারণ, আমরা সবাই একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছি।’ এসব বলাবলির পরেও ইসরায়েলি বর্বরতা মারাত্মকরূপে ছড়িয়ে পড়েছে।

৬ই ডিসেম্বর বোমা হামলায় দক্ষিণ গাজার একটি স্কুলে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন বলে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। চলমান যুদ্ধের কারণে ওই স্কুলটিতে বহু বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন। এছাড়া খান ইউনিস এবং কেন্দ্রে অবস্থিত নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় আরও ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আগের দিন উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে দু’টি স্কুলে বোমাবর্ষণ করেছিল ইসরায়েল, সেই অভিযানেও নিহতের সংখ্যা ছিল ৫০ জন।

ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, ৫ই ডিসেম্বর মঙ্গলবারের হামলায় নিহতদের মধ্যে ৪০ জন খান ইউনিস শহরের এবং ১০ জন নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের। স্কুলে বোমাবর্ষণের পাশাপাশি গাজার উত্তরাঞ্চলীয় শরণার্থী কেন্দ্র জাবালিয়া ক্যাম্পেও বোমা ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। এতে অন্তত ১০৮ জন নিহত এবং কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি আহত হন। আহতদের শিবিরের নিকটবর্তী কামাল আদওয়ান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা যাই বলা হোক না কেন, যুক্তরাষ্ট্রই এই ইসরায়েলকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তাদেরকে এমন গণহত্যায় মদত দিয়ে যাচ্ছে- এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছিল শুরু থেকেই। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস. ট্রুম্যান প্রথম বিশ্বনেতা হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি প্রদান করেন। ট্রুম্যানের ইসরায়েলকে স্বীকৃতি প্রদানের পেছনে কিছুটা ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবদান ছিল। ব্যবসায় ট্রুম্যানের সাবেক সহযোগী এডওয়ার্ড জ্যাকবসন যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের ভিত্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তবে এই সিদ্ধান্তের পেছনে কৌশলগত কার্যকারণও বিবেচনায় আনা হয়েছিল।

বিষয়টি ঘটেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ঠিক পরেই। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে বিদ্যমান স্নায়ুযুদ্ধ ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। তেল সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্য এবং সেখানকার কৌশলগত জলপথ, সুয়েজ খালসহ অন্যান্য পথ পরাশক্তিগুলোর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দুর্বল হয়ে পড়া ইউরোপীয় শক্তির কাছ থেকে ক্ষমতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান পশ্চিমা প্রতিনিধি হয়ে উঠছিল। কিন্তু তখন পর্যন্ত ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অকাট্য সমর্থন ছিল না।

এরপরে মিসর, সিরিয়া এবং জর্দানের দুর্বল নেতৃত্বে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে জয়লাভের পর ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অবশিষ্ট মুক্তাঞ্চল দখলে নেয়। একই সাথে তারা সিরিয়া এবং মিসরের কিছু অংশ দখল করে। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে ইসরায়েলের সামরিক আধিপত্যকে দ্ব্যর্থহীনভাবে সমর্থন প্রদান শুরু করে। মূলত আরব রাষ্ট্রগুলোর বৈরী আচরণ প্রতিহত করতেই যুক্তরাষ্ট্র এই পথ বেছে নেয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সার্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি সহায়তা পেয়েছে ইসরায়েল। এরপরের ঘটনাবলি প্রায় সকলেরই জানা। ২০১৬ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মার্কিন সামরিক সহায়তা হিসেবে ইসরায়েলকে ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। দশ বছর মেয়াদী এই সামরিক চুক্তিতে ইসরায়েলের মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমের জন্যও বরাদ্দ দেওয়া হয়।

ইসরায়েলের কি এই সাহায্যের খুব দরকার? ইসরায়েল এমন একটি রাষ্ট্র, যাদের প্রকৃত অর্থে সহায়তার প্রয়োজন নেই। উচ্চ প্রযুক্তিবিশিষ্ট সমৃদ্ধ খাতের ইসরায়েল ধনী এবং উচ্চ আয়ের রাষ্ট্র। তারপরেও মার্কিনিরা ইসরায়েলকে তাদের অঙ্গরাজ্য মনে করে! অন্যান্য পররাষ্ট্রবিষয়ক নীতিমালার মতো ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত নীতিমালার ক্ষেত্রেও জনমত, অর্থ এবং রাজনীতিতে অর্থনৈতিক প্রভাবের বিষয়গুলোও কাজ করেছে।

দীর্ঘ সময় ধরে মার্কিন জনসাধারণ ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে আসছে। এর পেছনে অনেকাংশেই ইসরায়েলের আধিপত্য বিস্তারকারী মিডিয়া ভূমিকা রেখেছে।

আশার কথা হচ্ছে, এই অবস্থা ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। গ্যালোপের পরিচালিত বার্ষিক জরিপ অনুযায়ী, মার্কিনিদের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠার সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে ২০২৪ সালেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। গাজায় যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের বিরুদ্ধে মুসলিমদের একজোট করার অঙ্গীকার করেছেন ছয় অঙ্গরাজ্যের মুসলিম নেতারা।

২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পেছনে যেসব রাজ্য ভূমিকা রেখেছে তার মধ্যে আছে ওই ছয় রাজ্য। এসব রাজ্যের ভোটারদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ মুসলিম ও আরব-আমেরিকান। আগামী বছরের নির্বাচনে তারা বাইডেনের জয়ে বাধা হয়ে উঠতে পারে। মিশিগানের ডিয়ারবর্ন শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে মিনেসোটার ‘কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনস’ (সিএআইআর)-এর পরিচালক জায়লানি হুসেইনকে নির্বাচনে বাইডেনের বিকল্প কে হতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে দুজন নয়, অনেক বিকল্প প্রার্থী আছে। তবে আমরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও সমর্থন দিচ্ছি না।’ অন্য প্রার্থীদের কীভাবে সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে সে ব্যাপারে মুসলিমরাই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শত শত ফিলিস্তিনির প্রাণহানির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার মুসলিমরা গত ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে আহ্বান জানানোর দাবি তোলার পরই শুরু হয় ‘অ্যাবানডন বাইডেন’ (বাইডেন পরিহার) শীর্ষক প্রচারাভিযান। সেই প্রচারাভিযান ছড়িয়ে পড়ে মিশিগান, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, পেনসিলভেইনিয়া এবং ফ্লোরিডায়।

যুক্তরাষ্ট্রই ইসরায়েলকে এগিয়ে দিচ্ছে। আবার তাদের কাউকে ভিসা নিষেধাজ্ঞায় ফেলছে। এই ডাবল স্ট‌্যান্ডার্ড নীতি ধরতে পারছে বিশ্বপ্রজন্ম। যা বিশ্বশান্তির পক্ষে প্রশ্নবোধক হয়েই দাঁড়াচ্ছে। এর অবসান দরকার। আমরা জানি, মার্কিনিরা চাইলেই ইসরায়েলি দানবতন্ত্রের লাগাম টেনে ধরতে পারেন। তারা চাইলেই পারেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ভূখণ্ডের স্থায়ী সমাধান করতে।

ফকির ইলিয়াস: কবি, সাংবাদিক। 'আমেরিকান ইমেজ প্রেস'-এর সদস‌্য।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :