বিএনপির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে চুপ থাকা বুদ্ধিজীবীরা সুবিধাবাদী: তথ্যমন্ত্রী

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিএনপিসহ তাদের সমমনা দলগুলো ‘আগুনসন্ত্রাস’ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘দেশের নাগরিকসমাজ বা বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যারা এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে নিশ্চুপ তাদেরকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন, এরা সুবিধাবাদী।‘ এসব বিষয়ে চুপ থাকার কারণে বুদ্ধিজীবীদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ।
রাজনীতিতে নাগরিকসমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নাগরিকসমাজ সময়ে সময়ে যেসব কথাবার্তা বলে সেগুলো আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখি। কিন্তু আজকে দেশজুড়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে যে অগ্নিসন্ত্রাস পরিচালনা করা হচ্ছে, অনেক মানুষ এই অগ্নিসন্ত্রাসের বলি হয়েছে, আগুনে ঝলসে গেছে, গতকালও সারাদেশে ১০টি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। এগুলো তখনই বন্ধ হবে যখন সারাদেশের মানুষ আওয়াজ তুলবে এবং সেই আওয়াজটা আমরা যারা সচেতন নাগরিক, সাংবাদিকসমাজ এবং নাগরিকসমাজ তাদের পক্ষ থেকে আসা প্রয়োজন। কিন্তু নাগরিকসমাজের কোনো বিবৃতি নাই, কোনো বক্তব্য নাই। এটি খুবই দুঃখজনক।’
‘আওয়ামী লীগ দল ভাগাানোর রাজনীতি করছে’- বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্যের এ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে বিএনপি থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নেতারা বিএনপি থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন, এই দলটা কেন করেন, যে দল আপনাদেরকে সংসদ নির্বাচন, উপজেলা বা জেলা পরিষদ নির্বাচন তো দূরের কথা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্বাচনও করতে দেয় না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একসময় রিজভী সাহেবরা দেখবেন যে উনারা কয়েকজন ছাড়া আর কেউ বিএনপিতে নাই। ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী। কারণ বিএনপির এই অপরাজনীতির সঙ্গে বিএনপির নেতারাই একমত নন। রিজভী সাহেবের মতো কিছু মানুষ আছে- ইয়েস স্যার, হ্যাঁ স্যার, জি স্যার। তারাই তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে এই অগ্নিসন্ত্রাসের আহ্বান জানাচ্ছে। এই অপরাজনীতি থেকে তাদের বের হয়ে আসা প্রয়োজন।’
বিএনপি অংশ না নিলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কি না এ প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি দল নির্বাচনে না এলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না- এমন তো সংবিধানে লেখা নাই, পৃথিবীর কোনো আইনেও লেখা নাই। বাংলাদেশে বহু নির্বাচন হয়েছে যেখানে বহু দল অংশ নেয়নি। যেমন ১৯৭০ এর নির্বাচনেও অনেক বড় নেতার নেতৃত্বাধীন দল অংশগ্রহণ করেনি। কিন্তু মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল এবং সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে।‘
(ঢাকাটাইমস/০৭ডিসেম্বর/জেএ/কেএম)

মন্তব্য করুন