রুমানা আলীর সম্পদ বেড়েছে ২৫ গুণ, সবুজের স্ত্রীর ৮ গুণ
গাজীপুর-৩ সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রয়াত রহমত আলীর কন্যা রুমানা আলী টুসি দম্পতির ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণ বেড়েছে ২৫ গুণ। স্বর্ণ অলংকার শূন্যের কোঠায় থাকলেও তার পরিমাণ এখন ৪০ ভরি। ৫ বছর আগে স্বামীর নামে আর্থিক হিসেব না থাকলেও বর্তমানে তার অর্থের পরিমাণ ২৫ লাখ ১০ হাজার ১৮২ টাকায় দাঁড়িয়েছে। পাঁচ বছর আগে তার অর্থের পরিমাণ তিন লাখ ৪৫ হাজার টাকা থাকলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ লাখ ৪১ হাজারে। এছাড়াও এর আগে তার ইলেকট্রনিক সামগ্রীর মূল্য ছিল ৩২ হাজার ৫০০ টাকা, ৫ বছরে তা বেড়ে এক লাখ ১১ হাজার ১০০ টাকা হয়েছে।
২০১৮ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের এই সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত গাড়ি না থাকলেও এ বছর তার ৭২ লাখ ৩৫ হাজার ৭০৭ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি রয়েছে। তবে গাড়ি বাবদ ঋণ ৩৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭৮ টাকা উল্লেখ রয়েছে।
অন্যদিকে কৃষিখাতে রুমানা আলীর বৎসরিক আয় ৩০ হাজার ২৭৭ টাকা থাকলেও এবার তা বেড়ে ৭১ হাজার ৩০০ টাকায় দাড়িয়েছে। সম্পদ হিসেবে তার কৃষি জমির মূল্য দেখানো হয়েছে ৩৯ লাখ ১৭ হাজার ৮১০ টাকা।
সম্প্রতি রুমানা আলী টুসির দাখিলকৃত হলফনামা পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ (এমপি) দম্পতির মধ্যে সবুজের নগদ অর্থের পরিমাণ কমলেও কৃষিখাতে আয় বেড়েছে। ৫ বছরে ১০০ ভরি স্বর্ণ বেড়েছে স্ত্রীর। ৫ বছর আগে স্ত্রী নিগার সুলতানা ঝুমার ব্যাংকে ছিল ৫ লাখ ২৬ হাজার এবং ৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও ১০০ ভরি স্বর্ণ ছিল। বর্তমানে তিনি এখন ব্যবসায়ী ৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ। ব্যবসা খাতে এ বছরে আয় ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংক সুদ পেয়েছেন ৪৫ হাজার। হাতে নগদ টাকা আছে ৫০ লাখ ২০ হাজার, ব্যাংকে জমা ১০ লাখ ৮১ হাজার, স্বর্ণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ ভরি।
এদিকে এর আগে ২০১৮ সালে সবুজের বাৎসরিক আয় ছিল পাঁচ লাখ ৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষিতে এক লাখ ৫২ হাজার, ব্যবসায় ২ লাখ ৭৯ হাজার এবং গৃহস্থালী থেকে ৭৬ হাজার টাকা। তবে পাঁচ বছরের ব্যবধানে তার আয় ৮ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ লাখ ১৩ হাজার টাকায়।
আয়ের খাতগুলো- কৃষিতে ১১ লাখ ৫০ হাজার, ব্যাংকের সুদ দিতে ও শেয়ার সঞ্চয় ১ লাখ ১৮ হাজার এবং সংসদ সদস্যের ভাতা ২৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সবুজের দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে তার নগদ অর্থ ছিল ২০ লাখ ৫০ হাজার এবং ব্যাংক জমা ছিল ২২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। তবে ৫ বছরে তার স্থায়ী সম্পদ না বাড়লেও অস্থায়ী সম্পদ বেড়েছে ৩.৪ গুণ।
খামারে বিনিয়োগ ৭ লাখ ৪০ হাজার, ঋণ ৫০ লাখ টাকা। তথ্য অনুযায়ী ২৩ সালে এমপি ইকবাল হোসেন সবুজের অস্থায়ী সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ৫ লাখ, ব্যাংকে জমা ৪৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা, ৮৩ লাখ ৭১ হাজার টাকার শুল্কমুক্ত কোটার একটি গাড়ি রয়েছে। সম্প্রতি ইকবাল হোসেন সবুজ এমপির নির্বাচনী হলফনামা পর্যালোচনা এসব তথ্য জানা গেছে।
(ঢাকাটাইমস/০৭ডিসেম্বর/ইএইচ)