প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে রিট

সম্প্রতি শেষ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ধাপের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে রিট করেছেন বরিশাল বিভাগের পরীক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার সাথী। মঙ্গলবার তিনি হাইকোর্টে রিটটি করেন। সেখানে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সাথী।
গত ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা। তাতে অংশ নেন রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু এদিন নানা কারণে এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি তিন বিভাগের দেড় লাখেরও বেশি প্রার্থী।
এ ঘটনার জেরে প্রথম ধাপের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে দেড় শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানান, চলমান হরতাল-অবরোধে পরীক্ষা গ্রহণ, বৈরী আবহাওয়ার কারণে দূরপাল্লার গাড়ি না পাওয়া, প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস না পাওয়া, প্রবেশপত্রের কারণে হলে প্রবেশ করতে না পারা ও পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন বাইরে চলে যাওয়াসহ নানা ঘটনা ঘটে। এতে দেড় লাখেরও বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।
সেদিনের মানববন্ধনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই ফাতেমা আক্তার সাথী, যিনি পরীক্ষা বাতিলের জন্য মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিট করেছেন। মানববন্ধনের দিনেই তিনি জানিয়েছিলেন রিট করার কথা, করলেনও।
সাথী সে সময় বলেন, কয়েক দফা পিছিয়ে হরতাল-অবরোধের মধ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। অথচ একই কারণে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। সমন্বিত ৭ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাও পেছানো হয়। পরীক্ষায় প্রক্সিসহ ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে। এজন্য আমরা আইনগতভাবে এই পরীক্ষা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে রিট করব।’
প্রথম ধাপের এই পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রত্যাশী। তবে অনেকে অনুপস্থিত থাকেন। পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে এদিন ১২৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
(ঢাকাটাইমস/১৩ডিসেম্বর/এজে)

মন্তব্য করুন