১৫ বছরে ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট: সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:৩৯ | প্রকাশিত : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫৫

বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে গত ১৫ বছরে ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে এই অর্থ লুটপাট করা হয়।

শনিবার ধানমন্ডিতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪: চলমান সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান ও গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম তখন উপস্থিত ছিলেন।

সিপিডি বলছে, ব্যাংক ঋণ খেলাপি এবং যারা অবৈধ আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ঋণের ফাঁদ তৈরি হয়েছে। অভ্যন্তরীণ যে আয় হচ্ছে, তা সরকার পরিচালনায় ব্যয় হচ্ছে। আর ঋণের টাকায় বাস্তবায়ন হচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)। মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার কারণে অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হয়েছে। রাজস্ব আহরণ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না। ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে মানুষের কষ্ট বাড়ছে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ঋণ, অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণসহ নানা ধরনের আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকে যে কেলেঙ্কারি বা অনিয়ম হয় সেগুলো অফিসিয়াল সূত্রে পাওয়া যায় না। সেগুলো সংবাদ মাধ্যমে আসে। গণমাধ্যমকর্মীরা সেগুলো হয়তো অফিসিয়াল সূত্রেই আনেন। এগুলোকে কম্পাইল করে ২০০৮-২০২৩ সাল পর্যন্ত গণমাধ্যমে ২৪টি ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এসব ঘটনায় ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশাল এই অর্থ দিয়ে কী হতে পারে সেটা আপনারা হিসেব করতে পারেন। আপনারা হিসেব করতে পারেন আমাদের রাজস্ব ঘাটতি কত? সামাজিক নিরাপত্তা খাতে কত ব্যয় হচ্ছে, শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে কত ব্যয় করছি। এই পরিমাণ টাকা দিয়ে আমরা কী করতে পারতাম।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, এই পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে, অপচয় হচ্ছে, ব্যাংকে যে টাকা সেটা জনগণের টাকা সেটা কীভাবে ব্যয় হচ্ছে তা চিন্তার বিষয়। সেই প্রেক্ষিতে ব্যাংক খাতে নিয়মকানুন বাস্তবায়ন করা ও সংস্কার করা একেবারেই জরুরি হয়ে পড়েছে।

‘সংস্কার পদক্ষেপের মাধ্যমে অর্থনীতিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সহজ কাজ হবে না। কেননা কায়েমি স্বার্থগোষ্ঠী শক্তিশালী এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে’—যোগ করেন ফাহমিদা খাতুন।

(ঢাকাটাইমস/২৩ডিসেম্বর/এসএম/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :