বিয়ের ৮ দিনের মাথায় স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের মাত্র ৮ দিনের মাথায় স্ত্রীর হাতে নির্মম হত্যার শিকার হয়েছেন মেহেদী হাসান (২৭) নামে এক যুবক।
শুক্রবার মধ্যরাতে পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ স্ত্রী জান্নাত আক্তারকে (১৮) আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে জান্নাত আক্তার।
মৃত মেহেদী হাসান কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় মৃত জলফু মিয়ার ছেলে। তিনি পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
জানা গেছে, গত ৯ মে পারিবারিকভাবে মেহেদী হাসানের সঙ্গে মসজিদ পাড়ার আল আমিনের মেয়ে জান্নাত আক্তারের বিয়ে হয়। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মেহেদী রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তার মা পাশের অন্য একটি বাড়িতে ছিলেন। ভোর রাতে নিহতের স্ত্রী বাড়ির মালিককে ডেকে বলে তার স্বামী অসুস্থ। বাড়ির মালিক ও আশপাশের লোকজন গিয়ে দেখে মেহেদী ঘরের মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মেহেদী হাসানের মা বকুল বেগম বলেন, ‘আমি ছেলেকে বউয়ের সাথে রেখে অন্য ঘরে ঘুমাতে যাই। ভোরে খবর পাই আমার ছেলে অসুস্থ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আট দিন হইছে আমার ছেলেরে বিয়ে করাইছি। অন্য ছেলের সাথে বউয়ের প্রেম ছিল। সে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই। বউয়ের ফাঁসি চাই।’
নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম বলেন, ‘আমার ছোট ভাই একটি ওষুধের দোকানে চাকরি করতো। সে খুব শান্ত স্বভাবের ছিল। তার স্ত্রী ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।’
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাত আক্তার তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। বিয়ের আগে এক ছেলের সাথে জান্নাত আক্তারের প্রেম ছিল। বিয়ের পর থেকে তিনি তার স্বামীকে মেনে নিতে পারছিলেন না। গত রাতে তার ঘুম আসছে না বলে স্বামীকে দিয়ে ঘুমের ট্যাবলেট আনান। পরে স্বামীকে কোকের সাথে ৬টি ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ভোর রাতে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।(ঢাকা টাইমস/১৭মে/এসএ)

মন্তব্য করুন