বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে নৌকার প্রচারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর হামলা: অভিযোগ আবু রেজা নদভীর

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:৩০

স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের পদ ব্যবহার করে নৌকার সমর্থকদের মিছিলে হামলা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া আংশিক) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি। এছাড়াও নৌকার সমর্থকদের মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন নদভী। তিনি বলেন, ‘এমন কাজ অব্যাহত থাকলে কখনই সুস্থ নির্বাচন হবে না। প্রধানমন্ত্রীর সহিংসতামুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বপ্নপূরণ হবে না।’

শুক্রবার বিকালে উপজেলা কেঁওচিয়া মাদারবাড়ি এলাকায় অবস্থিত হোটেল রোড ভিউ’তে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে তার স্ত্রী মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরী ও শ্যালক ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ তার কর্মী সমর্থকদের উপর পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ এনে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে এমপি নদভী ছাড়াও রিজিয়া রেজা চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মির্জা কচির, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক গোলাম ফারুক ডলার, নলুয়া ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি ঢাকায় বসে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য বাধ্য করছেন। আমি এসব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থাগ্রহণের অনুরোধ জানাবো।’

নদভী এমপি বলেন, আমি গত দশ বছর থেকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছি। এর আগে সাতকানিয়া-লোহাগাড়াতে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ বলার লোকও ছিলো না। সংবাদ সম্মেলনে নদভীর সহধর্মিনী মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরী গত বৃহস্পতিবার রাতে সাতকানিয়ার চরতীতে তার ও ভাইয়ের উপর হামলার বর্ণনা দিয়ে বলেন, মোতালেব বঙ্গবন্ধুর নৌকাকে ডুবানোর জন্য বহিরাগত সন্ত্রাসীদের জড়ো করেছে, ব্যাপক অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করেছে। সেই সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্র দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের উপর নির্যাতন করছে। আমাকে হত্যা করার জন্য তারা পরিকল্পিত ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে নারকীয় হামলা চালিয়েছে। হামলা থেকে আমি কোনো রকমে রক্ষা পেলেও আমার ভাই নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচত চরতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী, সাতকানিয়া ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মন্নান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমিন ও মিনহাজসহ অন্তত ১৫ জনকে গুরুতর আহত করেছে। তাদের মধ্যে রুহুল্লাহ চৌধুরী, আব্দুল মন্নান ও মিনহাজের অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়। আমরা পুলিশকে যথাসময়ে ঘটনার কথা জানালেও তাদের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়।

(ঢাকাটাইমস/২৩ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/জেডএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :