লক্ষ্মীপুরে ৭ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা, এসপিকে তদন্তের নির্দেশ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:৩৪

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আটকের পর আবদুর রহিম রনি নামে এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ এনে পুলিশ সদস্যের নামে দায়েরকৃত মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদেশ প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপারকে (এসপি) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল রায়পুর আদালতের বিচারক মো. বেলায়েত হোসেন আদেশ দেন।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে আদালতের পেশকার নুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুপুরে রিনা আক্তার নামে এক নারী তার স্বামীকে আটক করে মারধরের অভিযোগ এনে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন বিচারক।

অভিযুক্তরা হলেন রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু হানিফ, নুরুল ইসলাম, মো. আবু হানিফ, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সফিক মিয়া, সাখাওয়াত হোসেন, কনস্টেবল আতিক উল্যা ইউসুফ ঢালি।

মামলার বাদী রিনা রায়পুর উপজেলার পূর্ব চরপাতা গ্রামের আব্দুর রহিম রনির স্ত্রী। পুলিশের দায়েরকৃত তিনটি মামলায় তার স্বামী রনি জেলা কারাগারে রয়েছেন। রনি পূর্ব চরপাতা গ্রামের মো. শহীদুল্লাহর ছেলে।

বাদীর আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল পাটওয়ারী বলেন, রনিকে আটকের সময় তার কাছে কোনো ধরনের অস্ত্র মাদক পাওয়া যায়নি। তাকে থানা হাজতেও রাখেনি অভিযুক্তরা। কোনো একটি গোপন কক্ষে রেখে মারধর করা হয়েছে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) আদালতের আদেশ কপি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানোর কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।

এজাহার সূত্র জানায়, ১৭ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের বর্ডার বাজার রায়পুর-চাঁদপুর সড়ক থেকে অভিযুক্তরা রনিকে আটক করে। তখন তার সঙ্গে গরু বিক্রির ৯০ হাজার টাকা ছিল। ওই টাকা অভিযুক্তরা নিয়ে গেছে। পরে তাকে নিয়ে এসে মারধর করে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দিয়েছে।

তবে পুলিশের দাবি, ১৮ ডিসেম্বর ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রনিসহ দুইজনকে একনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজ, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ১৮০ পিস ইয়াবা ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি, অস্ত্র আইন মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাদী রিনা আক্তার বলেন, একদিন আগে আটক করে অভিযুক্তরা আমার স্বামীকে মারধর করে। আমি বার বার থানায় গেলেও তারা আমার স্বামীকে দেখায়নি। পরদিন রাতে তারা আমার স্বামীকে তিনটি মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে।

মামলায় প্রধান অভিযুক্ত রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ বলেন, মামলার বিষয়টি আমি জানি না। ডাকাতির প্রস্তুতির সময় অভিযান চালিয়ে আমরা রনিকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছি। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তারা মামলা করতেই পারেন। তবে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। রনির বিরুদ্ধে এর আগেও কয়েকটি মামলা রয়েছে।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, অস্ত্র, মাদক ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় রনিকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে তার স্ত্রীর আনা অভিযোগগুলোর বিষয়ে আমার জানা নেই। তাদের কাছ থেকে এসআই হানিফের টাকা চাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আসামির স্ত্রী আমার কাছে কোনো অভিযোগও করেনি।

(ঢাকাটাইমস/২৮ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/পিএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :