ফরিদপুর-১: ভোটারদের আস্থায় এগিয়ে ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলন

​​​​​​​ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৩০

ফরিদপুর- আসনে ভোটারদের আস্থায় এগিয়ে রয়েছেন ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন। বিপুল জনসমর্থন থাকা দোলনের কাছে পিছিয়ে পড়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই হেভিওয়েট প্রার্থী।

রবিবার বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গার মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের জন্য তাদের প্রতিনিধি বেছে নেবেন। আর এই জনপদের দায়িত্ব নিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে এগিয়ে আছেন আরিফুর রহমান দোলন। দীর্ঘদিন নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি যেভাবে মানুষের পাশে থেকেছেন সেই মূল্যায়নে তাকে সংসদে দেখার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ভোটাররা।

এলাকাবাসী জানান, গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব-দুঃখীদের খোঁজ নেওয়া থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনের উন্নয়ন পর্যন্ত সবকিছুতে বিগত সময়ে দোলনের অবদান আছে। তাই তাকে জাতীয় সংসদে নিতে পারলে আরও ব্যাপক পরিসরে তিনি এলাকাবাসীর উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন। এলাকার শতভাগ প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষেত্রে দোলনের বিকল্প নেই ফরিদপুর-১ আসনে।

এদিকে যুব সমাজেরও বেশি ঝোঁক তরুণ রাজনীতিক দোলনের দিকে। গত দুই দশক ধরে ইতিবাচক কর্মকাণ্ড আর সবসময় মানুষের পাশে থাকার কারণে দোলন ভোটের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।

প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া আরিফুর রহমান দোলন জাতীয় পর্যায়ের ব্যক্তিত্ব। একাধারে মেধাদীপ্ত সাংবাদিক, সফল উদ্যোক্তা ডায়নামিক রাজনীতিক। তরুণ এই নেতা ফরিদপুর- আসন নিয়ে যে উন্নয়ন পরিকল্পনা করছেন তা বাস্তবায়ন হলে এই জনপদ হবে স্মার্ট আদর্শ।

ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে আসা দোলন মানুষের জন্য কাজ করতে নিবেদিত প্রাণ। গত দুই দশক ধরে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী মধুখালীর গ্রামে গ্রামে। শুনেছেন মানুষের সুখ-দুখের কথা। গরীব-দুঃখী-মেহনতী মানুষের পাশে ছিলেন। চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাদের জীবনমান উন্নয়নে।

দোলন ভাবেন শিক্ষিত কিন্তু বেকার তরুণ-তরুণীদের নিয়ে। নানা রকম প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মদক্ষ যুবসমাজ তৈরিতে তিনি ভূমিকা রেখে আসছেন। তরুণদের জন্য যোগ্য কর্মসংস্থান গড়ে তুলতেও নিয়েছেন বিশেষ পরিকল্পনা। আগামী জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ী হলে কৃষি কারিগরি ভিত্তিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নকে তিনি অগ্রাধিকার দেবেন।

আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামার গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুন্সী পরিবারের সন্তান দোলন। বৃটিশ আমল থেকে সমাজসেবায় এই পরিবারটির ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে। ফলে দোলনের অস্থি-মজ্জায় রয়েছে প্রপিতামহ কাঞ্চন মুন্সীর মতো সমাজসেবার স্বভাব। তিনি বিপদে আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ান। হাত বাড়ান অসহায়ের দিকে। মিশে থাকেন তাদের আপনজন হয়ে।

এসব কারণে নির্বাচনি মাঠে দোলন যেখানেই যাচ্ছেন জমে যাচ্ছে হাজারো জনতা। ঈগল মার্কার স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে। দোলনকে এমপি নির্বাচিত করার প্রত্যাশা রেখে বক্তব্য দিচ্ছেন স্থানীয় রাজনৈতিক সামাজিক নেতারা।

স্থানীয় নেতারা বলছেন, আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী মধুখালীর প্রত্যন্ত এলাকায় গেলেও দোলনের হাতের ছোঁয়া পাওয়া যায়। তিন উপজেলায় হাজার হাজার মানুষকে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা, কম্বল বিতরণ, ছাতা বিতরণ, শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, করোনাকালে খাদ্য সহায়তা, পাঠাগারগুলোতে বই বিতরণসহ দোলনের অজস্র মানবিক কর্মকাণ্ড।

এছাড়াও দোলন নিজ অর্থায়নে মাদক সচেতনতায় সমাবেশ, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার উন্নয়ন করার পাশাপাশি ভূমিকা রেখেছেন সরকারিভাবে টিটিসি স্থাপন এবং বীরশ্রেষ্ঠ আবদুর রউফ স্মৃতি কমপ্লেক্স সংস্কারে।

স্থানীয়রা বলছেন, জনপ্রতিনিধি না হয়েও দুই দশক ধরে দোলন যে জনসেবা করেছেন, এমপি হলে আরও বেশি বেশি জনসেবা করবেন সেটিই স্বাভাবিক। তাছাড়া জনগণের উন্নয়ন সাধন করার মতো পরীক্ষিত মানবকল্যাণী নেতা দোলন। তাই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ফরিদপুর- আসনের ভোটারদের কাছে দোলনই প্রথম পছন্দ।

বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সহসভাপতি আরিফুর রহমান দোলন, আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, বিএনএমের নোঙর প্রতীকের প্রার্থী দলটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী আক্তারজ্জামান খান এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির একতারা প্রতীকের প্রার্থী নুর ইসলাম সিকদার।

জেলা নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ফরিদপুর-১ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৮৬ জন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৮৬ জন পুরুষ ও ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৯ জন নারী। এছাড়া ১ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারও রয়েছেন। মোট কেন্দ্র সংখ্যা ১৯৬টি, আর কক্ষ সংখ্যা অস্থায়ী ২১টি, স্থায়ী এক হাজার দুটি, আর মোট কক্ষ সংখ্যা এক হাজার ২৩টি।

(ঢাকাটাইমস/০৬জানুয়ারি/কেএম/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :