জুমার দিনের যে আমলে অভাবনীয় লাভ আর সওয়াব

ইসলাম ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৩

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবার। সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ একটি দিন, জুমার দিন। এদিন ফজর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত নানা আমলের কথা কোরআর এবং হাদিসে উল্লেখ আছে। তার মধ্যে একটি হলো মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর প্রতি দুরুদ পাঠ করা।

রাসুল (সা.)-এর প্রতি দুরুদ পাঠানো প্রত্যেক মুমিনের উপর কর্তব্য। আল্লাহতায়ালা নিজেই তার বান্দাদের তাঁর (সা.) প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। হাদিসেও বলা হয়েছে, ‘ওই ব্যক্তি সবচেয়ে কৃপণ, যে আমার নাম শুনেও সালাম পাঠায়নি।’

নবী করিম (সা.)-এর ওপর দরুদ পড়লে বা তার কাছে সালাম পাঠালে আমাদেরই লাভ। একবার সালাম পাঠানোর বিনিময়ে আল্লাহতাআলা ১০টি করে সালাম দেবেন। আল্লাহতায়ালা যদি আমাদের সালাম দেন, তাহলে সেটি কত বরকতময় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

তবে শুক্রবারে দুরুদ পাঠে আরও বেশি ও তাৎপর্যবহ সওয়াব এবং ফজিলত রয়েছে।

আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার ওপর জুমার দিন বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করো। কারণ আমার উম্মতের দুরুদ জুমার দিন আমার কাছে পৌঁছানো হয়। যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দুরুদ পাঠাবে, সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন সবচেয়ে আমার নিকটতম হবে। ’ (তারগিব, হাদিস নং : ১৫৭)

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করো। কারণ জিবরাঈল আলাইহিস সালাম এইমাত্র আল্লাহতাআলার বাণী নিয়ে হাজির হলেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান আপনার ওপর একবার দুরুদ পাঠ করে আমি তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করি এবং আমার সব ফেরেশতা তার জন্য দশবার ইস্তেগফার করে। ’ (তারগিব : ৩/২৯৯)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার ওপর দুরুদ পাঠ করা পুলসিরাত পার হওয়ার সময় আলো হবে। যে ব্যক্তি জুমার দিন ৮০ বার দুরুদ পড়ে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’

অন্য রেওয়াতে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর নিজ স্থান থেকে ওঠার আগে ৮০ বার এই দুরুদ শরিফ পাঠ করে, ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিইয়্যিল উম্মিইয়ি ওয়া আলা আলিহি ওয়া আস হাবিহি ওয়াসাল্লিমু তাসলিমা’। তার ৮০ বছরের পাপ ক্ষমা হয়ে যায় এবং ৮০ বছরের ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হয়। ’ (আফজালুস সালাওয়াত : ২৬)

আলী (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নবী করিম (সা.) এর ওপর জুমার দিন ১০০ বার দুরুদ পাঠ করে, সে কেয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার চেহারায় নূরের জ্যোতি দেখে লোকেরা বলাবলি করতে থাকবে এই ব্যক্তি কী আমল করেছিল!’ (কানজুল উম্মাল, হাদিস নং : ১৭৪)

আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার ওপর জুমার দিনে বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করো। কারণ এ হলো এমন মোবারক দিন; যে দিনে ফেরেশতারা উপস্থিত হন। যখন কোনো ব্যক্তি আমার ওপর দুরুদ পাঠ করে ওই দুরুদ সে পড়ার আগেই আমার কাছে আনীত হয়।’

আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার ইন্তেকালের পরেও কি আপনার কাছে আনীত হবে? রাসুল (সা.) বলেন, ইন্তেকালের পরেও। আল্লাহতাআলা জমিনের জন্য সব নবীর দেহ হারাম করে দিয়েছেন। ’ (তারগিব : ৩/৩০৩)

আল্লাহতাআলা আমাদের প্রত্যেককে প্রিয় নবীর প্রতি বেশি বেশি দুরুদ পাঠের তওফিক দান করুন (আমিন)।

(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :