শেকৃবিতে চুরি হচ্ছে গবেষণার ফসল, নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খামারে নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ কারণে প্রায়ই ঘটছে গবেষণারত ফসল চুরির ঘটনা। এতে গবেষণা কার্যক্রম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন গবেষণারত শিক্ষার্থীরা। গবেষণার ফসল ছাড়াও চুরি হচ্ছে গবেষণার পল্ট্রি মুরগি। কিন্তু এ বিষয়ে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব ও উদ্যানতত্ত্ব মাঠে সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির শিক্ষার্থীরা পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ফসলের জাতের ওপর পরীক্ষামূলক গবেষণা পরিচালনা করে থাকেন। তবে প্রায়ই রাতে কিছু বহিরাগত গবেষণার ফসল চুরি ও নষ্ট করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গবেষণা কার্যক্রম। চুরির ঘটনা পুনরাবৃত্তির ফলে গবেষণায় আগ্রহ হারাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন।
সম্প্রতি গবেষণা চালিয়ে যাওয়া স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মো. মামুন হোসেনের প্লট থেকে ক্যাপসিকাম, প্যাথোলজি বিভাগের মো. মাহমুদুল হাসান তানুর প্লট থেকে পেঁয়াজ, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের মো. ইসমাইল হোসেনের স্ট্রবেরি, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের আবু নোমান সায়েমের টমেটোসহ আরও কয়েকজনের ফসল চুরি ও নষ্ট হয়েছে।
শিক্ষার্থী বিপুল মজুমদার ও নিতু সাহা অভিযোগ করে বলেন, এর আগে এ গবেষণার শুরুর দিকে একবার চুরি হয়েছিল। তখন আমরা প্রক্টর বরাবর নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য একটি আবেদন করি। কিন্তু প্রশাসন থেকে কোনো গুরুত্ব না দেওয়ায় আবারও একইভাবে গবেষণার মুরগি ও কিছু ওষুধ চুরি হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তিত। আমাদের ক্যাম্পাস ছোট হওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিচরণ ক্ষেত্রের জায়গা কম। তাই তারা গবেষণা মাঠে আড্ডা জমায়। নিরাপত্তারক্ষীদের বাধা মানে না শিক্ষার্থীরা। গেটের তালা ভেঙে রাতে ঢুকে পড়ে অনেকে। আমাদের নির্মাণাধীন টিএসসি কাজ সম্পন্ন হলে সেখানে শিক্ষার্থীদের বসার জায়গা দিতে পারব। তখন গবেষণা মাঠে শিক্ষার্থীদের বিচরণ কমানো সম্ভব হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. হারুনুর রশীদ বলেন, নিরাপত্তার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত আনসার সদস্য নেই। তারপরও মাঝেমাঝে টহল দেওয়া হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের নির্মাণকাজ শেষ না হলে আমরা কিছু করতে পারছি না। তবে বিষয়টা নিয়ে আমরা ভাবছি।
(ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/এসএ/জেডএম)