নিয়ম লঙ্ঘন করে জিএম কাদের সংসদে কথা বলেছেন: ওবায়দুল কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গতকাল নিয়ম লঙ্ঘন করে জিএম কাদের জাতীয় সংসদে কথা বলেছেন।
বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বর্তমান সংসদ ভারসাম্যপূর্ণ হয়নি- জিএম কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সংসদ ভারসাম্যপূর্ণ না হলে তিনি কেন এলেন, আবার তিনি সংসদে যা বলার একাই বললেন। গতকাল কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কথা বলেননি, আমি আনুষ্ঠানিকতা একটু বলেছি, যা বলার তো জিএম কাদেরই কথা বলেছেন। উনি স্পিকারকে ধন্যবাদ দেওয়ার নামে যে কথা বলেছেন সেটা গতকাল বলা তার উচিত হয়নি। মনে হলো যে তুলকালাম হয়েছে, লম্বা একটা বক্তব্য দিলেন।
বিষয়টা ছিল ধন্যবাদ জানানো, উনাকে লম্বা বক্তব্য দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। গতকাল তিনি নিয়ম লঙ্ঘন করে কথা বলেছেন। সামনে তার কথা বলার যথেষ্ট সুযোগ আছে।
সংরক্ষিত আসন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন দল হিসেবে ৩৮টি সংরক্ষিত নারী আসন পাবে। আর স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের মিলিয়ে ৪৭ বা ৪৮টি হবে।আমরা সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নে পরীক্ষিত ত্যাগীদের গুরুত্ব দিব। সংরক্ষিত আসন পঞ্চাশের মধ্যে আমাদের সদস্য সংখ্যার সঙ্গে স্বতন্ত্রদের পক্ষ থেকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখানে মনোনয়ন চাওয়া ও ফরম নেওয়ার যে হিড়িক সে তুলনায় দেওয়ার সংখ্যা তো খুবই কম।
পরীক্ষিত ত্যাগীদের গুরুত্ব দিবো। যারা দুঃসময়ের পরীক্ষিত বন্ধু তাদের ব্যাপারটা অগ্রাধিকার দিবো।
তিনি বলেন, আমরা দেখলাম, নির্বাচনের ফলাফলের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল অধিবেশনে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। কোনো দেশের গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত নয়। আমরাও সম্পূর্ণভাবে ত্রুটিমুক্ত নয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কালো পাতাকা মিছিল ছিল অবৈধ। পুলিশের অনুমতি নেয়নি সেটাও অনিয়ম। আপনি যখন তখন ফ্রি স্টাইল কর্মসূচি দিবেন এটা হতে পারে না। নির্বাচনে অংশ নেয়নি এটা ভুল করেছেন। এখন কালো পতাকা মিছিল করছেন। কালো পতাকা প্রশ্ন কেন আসবে? আজকে দেশি-বিদেশি স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের বন্ধু রাষ্ট্র, নির্বাচন আগে তারা বিভিন্নভাবে একটা দেশের ক্ষমতাসীনদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছে। নিষেধাজ্ঞা ভিসানীতির মতো বিষয় বারবার দেখেছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের কালো পতাকা, কালো ব্যাজের প্রতি জনগণের কোনো সমর্থন নেই। পুলিশকে অমান্য করে তাদের দম্ভোক্তি শুনেছি, আমরা আর অনুমতি নিবো না। অনুমতি না নিয়ে রাজপথে ফ্রি স্টাইলে কর্মসূচি করবে আর আমরা চুপচাপ বসে থাকবো, এটা হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/৩১জানুয়ারি/জেএ/এসএম)

মন্তব্য করুন