মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে আরও এক বাংলাদেশি আহত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলায় আরও এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে আহত হওয়া ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজীজ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার ঘুমধুমের জলপাইতলী গ্রামে বাসিন্দা বাংলাদেশি নারী হোসনে আরা (৫৫) আশ্রিত রোহিঙ্গা নবী হোসেন (৬৫) মিয়ানমারের ছোড়া গুলিতে নিহত হন।
এদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২২৯ সদস্যসহ মিয়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য ও বিভিন্ন বিদ্রোহীগোষ্ঠীর মোট ২৬৪ জন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকের স্বজনরাও আছেন।
জানা যায়, ওপারে মিয়ানমারের ঢেঁকুবুনিয়া সীমান্তচৌকি চৌকি দখলকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি (এএ) ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে গুলি বিনিময় ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এর ফলে আতঙ্ক বেড়ে যায় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে।
লাগাতার গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লঞ্চার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকা। গুলির অংশ ও রকেট লঞ্চারের ভগ্নাংশ উড়ে এসে পড়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় বসতঘরের ওপর।
মঙ্গলাবার সকাল ৯টার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি মর্টারশেল এসে পড়ে ঘুমধুম ইউনিয়নের মধ্যমপাড়া মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বাড়ির উঠানে। এতে স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ নুর সিকদারের বাড়ির জানালার কিছু অংশ ফেটে গেছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো।
(ঢাকাটাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/এসআইএস)

মন্তব্য করুন