একুশে বইমেলা: শিশুদের পছন্দের শীর্ষে ভূতের বই

তানিয়া আক্তার, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১০| আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৮
অ- অ+

অমর একুশে বইমেলায় রঙিন বইয়ের পাতায় পাতায় চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে। খুঁজে বেড়াচ্ছে পছন্দের বই। বাহারি বর্ণমালা কিংবা মজার ছড়ার বইগুলোতে আগ্রহ থাকলেও ভয়ংকর ভূতের জগতকেই আপন করে নিচ্ছে খুদে বইপ্রেমীরা।

শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশুচত্বর ঘুরে খুদে পাঠকদের এমন আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।

বইগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর বই খুঁজছে ছোট্ট ইহান রামিন। প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া এই খুদে পাঠক মিরপুর থেকে এসেছে মায়ের সঙ্গে।

ইহান রামিন ঢাকা টাইমসকে বললো, “কোনটা কত ভয়ংকর দেখছি। বেশি ভয়ংকর ভূতের বইটা নেব।”

শামিমা আক্তার ইহানকে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছেন।

ভয় পেতে ভালো লাগে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া নুসরাত জাহান ওহির। তাই ভূতের বই তার প্রথম পছন্দ।

নুসরাত জাহান ওহি ঢাকা টাইমসকে বললো, “আমার ভূত দেখতেও ভালো লাগে আর পড়তেও ভালো লাগে। কারণ আমার ভয় পেতে মজা লাগে।”

পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে বিক্রমপুর থেকে এসেছেন মাধ্যমিকের শিক্ষক ওয়াহিদ মুরাদ চৌধুরী। তার দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া সন্তান রেজওয়ান মাহমুদ চৌধুরী রিজভীরও ভূত পছন্দ। ভূত সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান রাখে বলেও দাবি তার। অদ্ভুত সব ভূতের গল্প বইটি কিনে বেশ উচ্ছ্বসিত রিজভী।

রেজওয়ান মাহমুদ চৌধুরী রিজভী ঢাকা টাইমসকে বললো, “ভূতের সব বই কিনে নিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়। বইয়ে ভূতের হাড়-গোড় দেখে পড়তে মজা লাগে। আমি অনেক ভূতের বই পড়তে চাই।”

নিজে বই পড়তে পছন্দ করেন শিরিন সুলতানা। তাই মেয়ে জুনায়রা আশ্রাফ নামিরাকে নিয়ে এসেছন মেলায়। ইংরেজি মাধ্যমে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়লেও বাংলা বই বিশেষত ভূত নিয়ে আগ্রহ আছে তার। যে ধরনের বই হোক না কেন বাংলা পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি করতেই মেলায় নিয়ে এসেছেন সন্তানকে।

শিরিন সুলতানা ঢাকা টাইমসকে বলেন, “আমরা দেশের বাইরে ছিলাম। বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে মেলা ছাড়াও বই কিনে দিই। মহাকাশ, প্রাণিজগতের পাশাপাশি ভূতের গল্পও তার পছন্দ। আমি চাই বাংলা ভাষার প্রতি ভালো লাগা বেড়ে উঠুক।”

মেলা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী এস এম সায়েম ঢাকা টাইমসকে বলেন, “ছোটরা ভূতের বইয়ের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রিও হচ্ছে ভূতের বই।”

বাবুই প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী প্রজ্ঞা ঢাকা টাইমসকে বলেন, “ভূত, ডাইনোসর, পরির বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে প্রতিদিনই ভূতের বই বেশি বিক্রি হয়।”

সিসিমপুরের বিক্রয়কর্মী ওলি আহমেদ জয় ঢাকা টাইমসকে বলেন, “সাধারণ জ্ঞান, প্রাণিজগত, মহাকাশের বই বিক্রি হচ্ছে। তবে ছোটরা ভূতের বই পছন্দ করছে বেশি।”

(ঢাকাটাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/টিএ/এফএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই : টুকু
সম্পদের হিসাব ফেসবুকে দিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
পাবনার রমা দাশগুপ্ত থেকে টলিউডের মহানায়িকা সুচিত্রা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণে সেনাবাহিনী, প্রজ্ঞাপন জারি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা