ঋণের দায় থেকে বাঁচতে মাদরাসা শিক্ষককে হত্যা, পরকীয়া প্রেমিকাসহ আটক ৩

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪১
অ- অ+
অভিযুক্তদের উপর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর হামলার চেষ্টা ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঋণের দায় থেকে বাঁচতে আব্দুল হক (৫৮) নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশ ঘুম করার চেষ্টায় বালু চাপা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পরকীয়া প্রেমিকা তার স্বামীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শিক্ষক আব্দুল হক উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সারপলশিয়া এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে এবং পলশিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

শুক্রবার বিকালে উপজেলার সারপলশিয়া এলাকায় অভিযুক্ত জাহানারা ওরফে জয়নব বেগমের ঘরের পাশে বালুর নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে ওই শিক্ষক বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

আটককৃতরা হলেন, মাদরাসা শিক্ষকের পরকীয়া প্রেমিকা জাহানারা বেগম (৩৮) তার স্বামী আব্দুল বারেক (৪৮) এবং একই এলাকার সবুরের ছেলে ফারুক (২৫) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জাহানারা বেগমের সঙ্গে শিক্ষক আব্দুল হকের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্পর্ক চলাকালে তারা দুজন মিলে এলাকায় সুদের ব্যবসা শুরু করে। ব্যবসা করতে গিয়ে জাহানারার কাছে বেশ কিছু টাকা পাওনা হন ওই শিক্ষক। এছাড়া তাদের সম্পর্কের কথা জয়নবের স্বামী তার পরিবারের সদস্যরা জেনে যান। সম্পর্ক জানাজানি হওয়ায় দেনার দায় থেকে রক্ষা পেতে ওই শিক্ষককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান তারা।

এদিকে মাদরাসা শিক্ষক আব্দুল হকের খোঁজ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে জাহানারা বেগমের বাড়িতে গেলে তাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে পুলিশের সহায়তায় জয়নবের বাড়িতে গিয়ে বালুর নিচ থেকে ওই শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি জানাজানি হলে আটককৃতদের ঘটনাস্থলেই বিচার দাবি করেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। সন্ধ্যায় হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব আঞ্চলিক মহাসড়কের সারপলশিয়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

শিক্ষক আব্দুল হকের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার চাচাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য বাড়ির সামনেই বালুচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্যাহ বলেন, শিক্ষক নিখোঁজের ঘটনায় তার স্ত্রী থানায় সাধারণ ডায়রী করতে আসেন। পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে জাহানারা ওরফে জয়নবের বাড়িতে গিয়ে বালুর নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যার ঘটনায় জয়নব তার স্বামী এবং তাদের এক সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো: জামায়াত আমির
জামালপুরে মাদ্রাসায় ছাত্রী ভর্তিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে ডিএনসিসির কর বকেয়া ৩০ কোটি টাকা
শহীদ নিজামীর খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ: রফিকুল ইসলাম 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা