প্রতারণা করে এতিম ভাতিজার অর্থ আত্মসাৎ, কারাগারে চাচা

মাদারীপুরে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের ৫১ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে চাচা মো. হাবিবুর রহমান। বিষয়টি বুঝতে পেরে মাদারীপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণার মামলা করেছেন ভাতিজা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
এ মামলায় মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ আসামি হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার ১০৬ নম্বর মহিষেরচর মৌজায় এস.এ ১৬৫১ নং খতিয়ানে ২৬২৩ ও ২৬২৪ দাগের রেকর্ডের মালিক আব্দুল মোতালেব। পড়ে আব্দুল মোতালেব মারা গেলে এই সম্পত্তির মালিক হয় তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। এছাড়া একই দাগে দুই দলিলে ১৮.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন আব্দুল মোতালেবের ছেলে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। পৈতৃক সম্পত্তি ও ক্রয় করে জমি মিলে এই দুই দাগের মোট ৪৭.৫০ শতাংশ জমির মালিক হন মিজানুর রহমান। মাদারীপুর বিসিক শিল্পনগরের জন্য জমি অধিগ্রহণ করলে সেখানে মিজানুর রহমানের ওই দুই দাগের ২৮ শতাংশ জমির অধিগ্রহণ হয়।
অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের টাকা কীভাবে তুলতে হবে বিষয়টি না জানায় চাচা হাবিবুর রহমানের সহযোগিতা চায় এতিম ভাতিজা মিজানুর রহমান। আর এই সুযোগে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান অধিগ্রহণকৃত নিজের জমির সঙ্গে মিজানুর রহমানের অধিগ্রহণকৃত জমির বিল একসঙ্গে উঠানোর কথা বলে চাচা হাবিবুর রহমান। এতে মিজান রাজি হয়ে জমির টাকা উঠানের জন্য ক্ষমতাপত্র তার চাচার কাছে দেন। নিজের জমির সঙ্গে ক্ষমতাপত্রের বলে ভাতিজার ৫১ লাখ টাকার বিল তুলে নেয় চাচা হাবিবুর রহমান। ভাতিজাকে কোনো টাকা না দিয়ে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন চাচা হাবিব।
টাকার জন্য চাচার পেছনে দীর্ঘদিন ঘুরেও টাকা না পেয়ে মাদারীপুর চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ভাতিজা মিজানুর রহমান। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর জেলা পুলিশ শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকালে হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পরে আদালতে প্রেরণ করেন।
মাদারীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সালাউদ্দিন হোসেন বলেন, এনআই অ্যাট একটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেয়ে হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/এআর)

মন্তব্য করুন