গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরানোর প্রস্তাব ইসরায়েলি বাহিনীর 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৪ | প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৭

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সেনা বাহিনী গাজা ভূখণ্ডে লড়াই করার জন্য পুরো উপত্যকা থেকে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দেওয়ার একটা পরিকল্পনা পেশ করেছে। তবে কীভাবে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হবে, তারা কোথায় যাবে, সে সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি।

নেতানিয়াহু আরও জানিয়েছেন, অধিকৃত এলাকায় নিরাপদে মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর একটি পরিকল্পনাও যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে।

এদিকে রবিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে স্থল আক্রমণ-হামাসের ওপর ইসরায়েলের ‘সম্পূর্ণ বিজয়’ এনে দেবে।

তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমাদের একটি (যুদ্ধবিরতি) চুক্তি হয় তবে এটি কিছুটা বিলম্বিত হবে, তবে স্থল আক্রমণ অবশ্য হবে।’

নেতানিয়াহু বলেন, রাফায় স্থল আক্রমণ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। কারণ পূর্ণ বিজয় আমাদের লক্ষ্য এবং সম্পূর্ণ বিজয় আমাদের হাতের নাগালে, যা কয়েক মাস দূরে নয়, সপ্তাহ দূরে, যখন আমরা অপারেশন শুরু করব।’

প্রসঙ্গত, ইসরায়েল রাফাতে সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনার ফলে বৈশ্বিক সমালোচনার মুখে পড়েছে। কারণ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেখানে ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি লড়াইয়ের হাত থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছেন এবং স্থল আক্রমণে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটবে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জানিয়েছেন, ‘হামাসের সঙ্গে ইসরায়েল যদি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়, তার প্রভাব লেবাননে হিজবুল্লাহর ওপর পড়বে না। ইসরায়েল হিজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাবে।'

তিনি বলেন, ‘যদি কেউ মনে করেন, দক্ষিণে বন্দিবিনিময় নিয়ে আমরা কোনো সমঝোতায় এলাম, তাহলে অন্য জায়গায় গোলাগুলি বন্ধ হয়ে যাবে এরকম ভাবার কোনো কারণ নেই। দক্ষিণে যা হোক না কেন, তার সঙ্গে অন্য অঞ্চলের সম্পর্ক নেই। আমরা লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত লড়াই চালাব।’

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবানন এবং ইসরায়েল সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনী। এতে সীমান্তের দুই দিকেই হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে দক্ষিণ লেবাননের নাবাতিহে শহরে ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে তিনজন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা এবং এক পরিবারের সাতজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, বুধবার যুদ্ধবিমানগুলো নাবাতিহে হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত একটি ভবনে আঘাত হানে। এতে হিজবুল্লাহর অন্যতম এলিট শাখা আল-হজ রাদওয়ান ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডার আলী মুহাম্মদ আল-দাবস এবং তার ডেপুটি হাসান ইব্রাহিম ইসাসহ হিজবুল্লাহর মোট তিন সদস্য নিহত হয়েছে।

২০২৩ সালের মার্চে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে মেগিডো সড়ক জংশনে বোমা হামলা হয়েছিল। আল-দাবস সেই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে আইডিএফ।

সূত্র: ডিডব্লিউ, এএফপি

(ঢাকাটাইমস/২৬ফেব্রুয়ারি/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :