কুসিক উপনির্বাচন: সূচনা-তানিমের কথার লড়াই, থেমে নেই কায়সার-সাক্কুও

শাহরিয়ার ইমন জয়, কুমিল্লা
| আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৫ | প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৩

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের উপ-নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থীরা। এ প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়ে তারা ভোটারদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ভোটারদের মতে, সুষ্ঠু ভোট হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই দেখা যাবে।

কুমিল্লা উপ-নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন চারজন। এরমধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের পদবীধারী দুজন এবং বাকি দুজন বিএনপিপন্থি হিসেবে পরিচিত। আ.লীগের দুজন প্রদবীধারীর একজন হলেন বাস প্রতীকের তাহসিন বাহার সূচনা। তিনি সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের কন্যা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আরেকজন হলেন, হাতি প্রতীক পাওয়া নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম। তিনি মহানগর আ.লীগের উপদেষ্টা পদে রয়েছেন।

কুসিকের উপনির্বাচনে নিজেকে একাধিকবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, এক বর্ধিত সভায় আ.লীগের মহানগর কমিটির সদস্যরা তাকে সমর্থন দিয়েছেন। অপরদিকে শুধু সূচনা নয়, নিজেকে আ.লীগের প্রার্থী দাবি করেছেন তানিম। আর উপনির্বাচন ঘিরে এ দুই প্রার্থীর চলছে কথার লড়াই।

তাহসিন বাহার সূচনা ঢাকা টাইমসকে বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সকল ওয়ার্ডের সমর্থন পেয়ে আমি একক প্রার্থী হয়েছি। যিনি নিজেকে মহানগর আওয়ামী লীগের প্রার্থী দাবি করছেন, তিনি আসলে ‘স্বঘোষিত’।

তিনি আরও বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিশাল একটি ইউনিট আমার সাথে সার্বক্ষণিক কাজ করছে। দলীয় প্রতীক না থাকলেও দল আমার সাথে আছে। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দাবি করা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম ঢাকা টাইমসকে বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের প্রার্থী একজন নয়, দুজন। একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, আরেকজন উপদেষ্টা। অনেকে নিজেকে একক প্রার্থী দাবি করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়াটা আমার জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। কুমিল্লার মানুষ আমাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিবে না। আমি অতীতে সেই ভাবে কাজ করেছি।

এদিকে মাঠে রয়েছে বিএনপিপন্থি ঘোড়া প্রতীকের নিজাম উদ্দিন কায়সার এবং টেবিল ঘড়ি প্রতীকের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। যদিও গত সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় তাদের দু'জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। নিজাম উদ্দিন কায়সার নিজেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দাবি করেন। অপরদিকে মনিরুল হক সাক্কুর দাবি বিএনপি তার সাথেও আছে।

সম্প্রতি নিজাম উদ্দিন কায়সার ঢাকা টাইমসকে বলেন, ৯৫% বিএনপির নেতাকর্মীরা আমার সাথে আছে। বিএনপির মূল চালিকা শক্তিও আমার পক্ষে। বিএনপি আমাকে তাদের প্রার্থী মনে করে।

তিনি আরও বলেন, সাক্কু ভাইকে এখন আর বিএনপির লোক বলার সুযোগ নেই। তিনি বিএনপির আদর্শের সাথে নেই। কুমিল্লার মানুষ পরিবর্তনের লক্ষ্যে আমাকে ভোট দিবে।

বিষয়টি নিয়ে মনিরুল হক সাক্কু ঢাকা টাইমসকে বলেন, মির্জা ফখরুল ভাই (বিএনপির মহাসচিব) জেল থেকে বের হওয়ার পর আমি ওনার সাথে দেখা করেছি। ওনি আমাকে মাঠে কাজ করার জন্য বলেছেন। বিএনপি যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। তাই আমি কুমিল্লার মানুষের জন্য স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির সকল নেতাকর্মী আমার সাথে আছে। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সিটি কর্পোরেশনের বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করবো।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন হয়। নির্বাচনে আরফানুল হক (রিফাত) মেয়র হন। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর আরফানুল হকের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে মেয়র পদ শূন্য হয়। শূন্য পদে আগামী ৯ মার্চ সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৬ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :