‘বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া এবং উদ্যোক্তা শ্রেণির করণীয়’ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

দেশে উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স ২৫শে ফেব্রুয়ারি পঞ্চম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স এর আয়োজন করে। যার মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া এবং উদ্যোক্তা শ্রেণির করণীয়’।

অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের পরিচালক ডক্টর জাহাঙ্গীর আলম। এতে ভারত থেকে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট, কলকাতা প্রখ্যাত ম্যানেজমেন্ট গুরু প্রফেসর ডা. সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউকে থেকে চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জেন. জেট শাহ সিদ্দিকী। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ওয়ান ফার্মার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান।

বক্তারা প্রফেসর ড. মাহবুব আলীর প্রস্তাবিত বছরের একটি দিন উদ্যোক্তা দিবস হিসেবে পালনের ব্যবস্থা নিতে সমর্থন করেন।

তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু উদ্যোক্তাবান্ধব সেহেতু ঢাকা স্কুল ও ইকোনমিক্স উদ্যোক্তা তৈরির কারখানা হিসেবে সুইপের তৃতীয় পর্যায় থেকে বিজনেস ইনকিউবেটর তৈরি করা এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্টে সুইপের আওতায় অর্থায়ন করা দরকার যেহেতু এই প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত।

ডক্টর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষি খাতের বিকাশ দরকার।

প্রফেসর মাহবুব আলী বলেন, বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদের টিকিয়ে রেখেছে এবং উজ্জীবিত করেছে। এই সেমিনারে মোট ৫৪টি প্রবন্ধ দেশ ও বিদেশ থেকে তিন দিনে উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন হুমায়রা তাবাসসুম।

কৃষিবীদ কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান কৃষিখাতের বিকাশে নিরাপদ খাদ্যের দাবি জানান। এই অনুষ্ঠানে এলিভেটেড পিচ, বাংলা এবং ইংরেজি বিতর্ক, প্রদর্শনী, বিজনেস কেস স্টাডি হয় অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ থেকে ২০০ অধিক ছাত্রছাত্রী অংশ নেন। এই প্রদর্শনীতে ৫২'র ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং একাত্তরের ঘৃণ্য গণহত্যা তুলে ধরা হয়।

প্রাক্তন ছাত্র ফয়জুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স সব সময় উদ্যোক্তা বিকাশে চেষ্টা করছে।

প্রফেসর মুহাম্মদ মাহবুব আলী বলেন, একজন ভাষা সৈনিকের সন্তান হিসেবে ভাষার মাসে করতে যেয়ে আমার প্রিয় সহকর্মীরা যে সহযোগিতা করেছেন তা অনস্বীকার্য। এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে সহকারী অধ্যপিকা রেহানা পারভীন, ড. সারা তাসনীম, প্রভাষক শামীম আহমেদ এবং নাভীদ শাহরিয়ার অর্নব বিভিন্ন পর্বে বক্তব্য দেন।

প্রফেসর ড. সিল্কি ভিঙ্কেসওয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক) এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ নাসির, কানাডা প্রবাসী বিশিষ্ট হিসাববিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মুসতাক এম. হুসাইন, পিএইচডি বিভিন্ন সময় বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রসংশা করেন। তারা অনার্স, মাস্টার্স, পোস্ট গ্রাজুয়েট পড়তে উদ্বুদ্ধ করে বলেন, এর জন্য সরকারি নীতিমালা প্রয়োজন।

ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি