সদস্যপদ বাতিল

আইনি ব্যবস্থা নেবেন জায়েদ খান, নিপুণকে দিলেন হুঁশিয়ারি

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৮

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে নিজের সদস্যপদ বাতিলের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিতে চলেছেন আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান। রবিবার সকালে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারকে দিয়েছেন হুঁশিয়ারি।

সদস্যপদ বাতিলের বিপক্ষে আপনি কী পদেক্ষপ নিতে চলেছেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, ‘তারা যেটা করছে সেটা সম্পূর্ণ সমিতির আইন পরিপন্থী। সদস্যপদ হারানোর চিঠি পেলে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব। এই অবৈধ সাধারণ সম্পাদককে আর ইচ্ছামতো কাজ করতে দেওয়া যাবে না।’

প্রশ্ন রেখে জায়েদ খান বলেন, ‘তারা (শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি) গতকাল (শনিবার) একই সঙ্গে সাধারণ সভা ও পিকনিক করেছে। খোঁজ নিয়ে দেখেন তো পিকনিকে কতজন শিল্পী হাজির ছিলেন। আর খোলা জায়গায় কি কখনো সাধারণ সভা করা যায়?

শিল্পী সমিতি থেকে তার সদস্যপদ কী কারণে বাতিল করা হয়েছে, তা তিনি জানেন না বলে দাবি করেন জায়েদ খান। বলেন, ‘আমাকে চিঠি না পাঠালে আমি এ ব্যাপারে জানতে পারব না।’

অভিনেতা বলেন, ‘সাধারণত তিনটি কারণে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্য পদ স্থগিত হয়। প্রথমত, কেউ সমিতি পরিপন্থী কিছু করলে। দ্বিতীয়ত, ফৌজদারি মামলায় পড়লে। তৃতীয়ত, সময়মতো চাঁদা পরিশোধ না করলে।’

জায়েদ খানের দাবি, ‘আমি তিনটির কোনোটিই করিনি। শুনলাম, আমি নাকি সমিতিকে হেয় করে ইউটিউবে সাক্ষাৎকার দিয়েছি। কেউ কি সেটা দেখাতে পারবেন? আমি ব্যক্তি নিপুণ আক্তারকে নিয়ে কথা বলেছি। এখন একজন ব্যক্তি তো একটি প্রতিষ্ঠান হতে পারেন না।’

সাবেক এই শিল্পী নেতা এও জানান, ‘একজন শিল্পীর সদস্যপদ স্থগিত করতে হলে তাকে পরপর তিনটি চিঠি দিতে হয়। আমি একটি চিঠিও পাইনি।’ তার দাবি, ‘আমি যেন শিল্পী সমিতির আগামী নির্বাচনে যেতে না পারি, ভোট দিতে না পারি, সেই কারণেই তারা এই কাজ করেছে।’

শনিবার ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার পিয়াংকা শুটিং হাউজে অনুষ্ঠিত হয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজন। সেখানে বসেই সমিতির নেতারা জায়েদ খানের বিরুদ্ধে এই অ্যাকশন নেন।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিষদ নেতা প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। তিনি জানান, বনভোজনের শুরুতে শিল্পী সমিতির সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনে ৯নং একটি বার্তায় জায়েদ খানের সদস্যপদ খারিজ ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঘোষণাপত্রে জানানো হয়, কোনোরূপ সাংগঠনিক দুর্বলতা না পেয়ে জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশে ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ কল্পকাহিনি সাংবাদিক সম্মেলন, ইউটিউব, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।’

এর আগে বনভোজনের দিন শনিবার জায়েদ খান অভিযোগ করেন, তাকে বনভোজনের কোনো দাওয়াত কার্ড পাঠানো হয়নি। এমনকি কেউ ফোন দিয়েও তাকে বনভোজনের বিষয়ে বলেননি।

অভিযোগের সুরে এই অভিনেতা বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে এই কমিটি (কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ) কোনো কাজ করেনি। একটা পিকনিক আয়োজন করেছে, সেখানে আমাকে কার্ড পাঠাতে পারতো, সেটা করেনি তারা। এটাকে তাদের ব্যর্থতা বলব আমি।’

জায়েদ খান শিল্পী সমিতির দুইবারের সাধারণ সম্পাদক। গতবারের নির্বাচনেও তিনি জিতেছিলেন শিল্পীদের ভোটে। তবে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ অর্থাৎ, টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচনি আপিল বোর্ড। ফলে সাধারণ সম্পাদক হন নিপুণ আক্তার।

এরপর আদালতে মামলা করেও শেষমেশ জিততে পারেননি জায়েদ খান। উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের রায়ে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণই বহাল থাকেন। এবার শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদও গেল জায়েদ খানের। নতুন করে শুরু হলো নিপুণের সঙ্গে ‘যুদ্ধ’।

(ঢাকাটাইমস/০৩মার্চ/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :