ড্রেনের ময়লা পানি ঢুকছে বাড়িতে, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ একটি পরিবার

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:০২

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার শ্যামগঞ্জ কালীবাড়ি বাজারের ড্রেনে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একটি হিন্দু পরিবারের বসত বাড়িতে ড্রেনের দূষিত ময়লাযুক্ত পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে মাস ধরে। দূষিত ময়লা পানি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। চরম ভোগান্তিতে পরিবারটি।

উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ কালীবাড়ি বাজারের জগলু মোহন চৌধুরীর বাড়ির ভেতরে বাজারের ড্রেনে উপচে ময়লাযুক্ত পানি ঢুকেছে।

শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গিয়ে গেছে, 'জগলু মোহন চৌধুরীর বাড়ির গেটে ঢুকতেই বাড়ির ভেতরের উঠানে হাঁটু পরিমাণ ময়লাযুক্ত পানি। পানি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। তবুও বাধ্য হয়ে এর মাঝেই ঘরের বারান্দায় রান্না করছে জগলু মোহন চৌধুরীর ভাইয়ের মেয়ে। ময়লা পানি জমে কালো কুচকুচে হয়েছে, পানিতে মশা মাছি ভনভন করছে।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, 'বাজারের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের ব্যবস্থা থাকলেও ড্রেন থেকে পানি নেমে যাওয়ার মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাজারের পূর্ব পাশ দিয়ে পানি নেওয়া যাই। ড্রেনের মুখে মাটি ময়লা জমে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতো ড্রেন উপচে জগলু মোহন চৌধুরীর বাড়িতে মাস ধরে পানি ঢুকেছে। এছাড়াও বৃষ্টি হলেই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ আশপাশে কয়েকটি বাড়িতে পানি ঢুকে তৈরি হয় জলবদ্ধতা।

জগলু মোহন চৌধুরী বলেন,'বাজারের ড্রেনে পানি উপচে আমার বাড়ির ভিতরে ঢুকেছে, প্রায় - মাস ধরে এই অবস্থা। পানির দুর্গন্ধে থাকা যায় না, দুর্গন্ধে এখানে আর থাকা যাচ্ছে না। খুব কষ্টে রয়েছি। আমার ভাইয়ের মেয়ে এখান থেকে চলে গিয়েছে। মশার কামড়ে যন্ত্রণায় আর থাকতে পারছি না। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেবকে বারবার অনুরোধ করার করার পরেও আমি কোন সমাধান পাইনি।

শ্রী পলাশ চৌধুরী মিলন বলেন,'বাজারের পানি নেমে যাওয়ার জন্য ড্রেনের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই বাজারের মলমূত্র পচা পানি বাড়ির ভেতরে ঢুকে উপচে যায়। দুর্গন্ধে থাকা যায় না তখন। যুগল মোহন চৌধুরীর এখন খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছে। বৃষ্টি হলে আমার দোকানের মধ্যেও পানি ঢুকে পড়ে।

সিধুলী ইউনিয়ন পরিশোধের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মিরন বলেন,'অতি বৃষ্টির কারণে ড্রেনের মুখে মাটি পড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মাটি কিছুটা সরানো হয়েছে। ড্রেনের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। সুন্দরভাবে ড্রেন মেরামত করে দিবো আর কোন জলবদ্ধতা থাকবে না।

মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, 'এই বিষয়টি আমাকে কেউ জানাইনি আপনার কাছ থেকে জানলাম, আমাকে জানালে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো। আমি তো এই জায়গায় অনেকদিন ধরেই রয়েছি, আমাকে জানালে এতদিনে সমস্যা সমাধান হয়ে যেত।

(ঢাকাটাইমস/৫মার্চ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :