সিদ্ধিরগঞ্জে রমজানের পণ্যের চড়া দামে ক্রেতাদের হাঁসফাঁস

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪১

পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা নিজেদের পরিবার পরিজন নিয়ে পবিত্র রমাদানকে পালিত করার আগ্রহে পাড়া-মহল্লার বাজারগুলোতে নিত্যপণ্য কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে, পণ্যের চড়া দামে হাঁসফাঁস সাধারণ মানুষের। অবৈধ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের লাগামহীন দামে রমজানের জন্যে প্রয়োজনীয় সদাই ক্রয়ে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্নবিত্তরা। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, পাইকারিতে বেশি কেনার ফলে তারাও বেশিতে বিক্রি করছেন।

বুধবার নারায়ণগঞ্জস্থ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রথম রোজার দিনে এখানকার বাজার থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কিন্তু পণ্যের অধিক দাম হওয়ায় প্রয়োজনের চেয়েও কম পণ্য নিয়ে বাজার থেকে বাসায় ফিরছেন তারা। বিশেষ করে বিপাকে পড়ছেন নিম্নবিত্তরা। প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের ঘুরতে হচ্ছে বহু দোকান।

দোকান ঘুরে জানা গেছে, রমাদান উপলক্ষে প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যকার বুটের মূল্য ১১০ টাকা, চিনি ১৪০ টাকা, ডাল ১৪০ টাকা, মুড়ি ৮০ টাকা।

পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, রসুন ১৫০-১৬০ টাকা, আদা ২০০ টাকা, লেবুর হালি ৭০-৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০-৯০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা,

গরুর মাংসের দাম ৭৫০ টাকা, বয়লার মুরগী ২২০ টাকা এবং কক ৩২০-৩৪০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।

ফলের মধ্যে খেজুর ২৮০ থেকে ১৫'শ দরে, আপেল ৩৫০, মাল্টা ৩৬০, নাশপতি ৩০০, আনাড় ৩৫০ টাকায়।

সিদ্ধিরগঞ্জ পুলস্থ বাজারে এসেছেন রহমান আলী। কেমন বাজার করা হয়েছে জিজ্ঞেস করলে জানিয়েছেন, ১২'শ টাকা নিয়ে বাজারে এসে মুরগী কিনতে ব্যর্থ হয়েছেন। সবজি, বুট এবং তেল কিনতেই তার বাজেট শেষ। তাই বিকালে আবারও এসে বাকি সদাই কিনবে।

চিটাগাংরোডস্থ কাচা বাজারে দিনমজুর আক্কাস মিয়াকে বিভিন্ন দোকান ঘুরে পণ্যের মূল্য জিজ্ঞেস করতে দেখা গেছে। ঢাকা টাইমস প্রতিবেদক তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, গতকাল কাজ করে ৬'শ টাকা কামিয়েছেন। সেই টাকা নিয়ে বাজারে এসে মুরগী কিনলেও সবজিতে আটকে আছে। তাই বিভিন্ন দোকান ঘুরে একটু কমের মধ্যে কিনতে চাচ্ছেন।

ফল কিনতে আসা জীবন নামের এক ক্রেতা বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে অতি প্রয়োজনীয় লেবু এবং বেগুনের অধিক মূল্য রাখছেন দোকানদাররা। আপেলের এবং মাল্টা কিনতে এসে অবাক হলাম। মূল্য না কমালে সামনে আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরার পর আরও কয়েকজন ক্রেতাও এমন কথা জানিয়েছে। অনেক ক্রেতার মতে মূল্য না কমলে ১৫ রোজার পর ইফতারিতে পছন্দের জিনিস খেতে ব্যর্থ হবেন।

এদিকে দোকানিতের ভাষ্য, তারা খুচরা ব্যবসায়ী। পাইকাররা বেশি মূল্যে তাদের থেকে বিক্রি করাতে তারাও ক্রেতাদের কাছে চড়া মূল্যে বিক্রি করে। তাদের কোনো সিন্ডিকেট নেই।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, আমি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে একটি অভিযান পরিচালনা করছি। আর সরকার থেকে এখন পর্যন্ত মাংসের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি। শুনেছি দিপুরাজার এলাকাতেও ৭৮০ করে বিক্রি করা হচ্ছে। পণ্যের দাম বেশি রেখে ক্রেতাদের হয়রানি করলে ব্যবস্থা অবশ্যই নিবো। তবে এখন একটু ব্যস্ত একটি অভিযানে আছি।

(ঢাকা টাইমস/১২মার্চ/প্রতিনিধি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :