কেন্দুয়ায় রমজানকে ঘিরে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সবজি ও মাছ মাংসের বাজার

​​​​​​​কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:১০

নেত্রকোণার কেন্দুয়া বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সবজি মাছ মাংসের দোকানগুলোতে। লাগামহীন দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। তবুও বাজার মনিটরিংয়ের উদ্যোগ নিচ্ছে না প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন কেন্দুয়া বাজারে গিয়ে দৃশ্য দেখা গেছে।

সাউদপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সাকি কাঁচাবাজারে ঢুকে শসার দাম জিজ্ঞেস করলেন। বিক্রেতা জানালেন প্রতি কেজি ১০০ টাকা। তাতে চোখ কপালে ওঠার অবস্থা সাকির। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দুই দিন আগেও তো ৬০ টাকায় কিনেছি। আজ এমন কী হয়েছে, কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে গেল।

বিক্রেতার সাফ জবাব, ‘১০০ টাকার কম হবে না। কিনলে কিনেন, না হয় চলে যান।

রোজার প্রথম দ্বিতীয় থেকেই এভাবে বাড়ছে সবজির দাম। আলু, বাঁধাকপি টমেটো ছাড়া কোনো সবজিই ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।

রেজাউল করিম নামে এক ক্রেতা বলেন, বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশে রমজান মাস এলে নিত্যপণ্যের দাম কমে আর আমাদের দেশে তার উল্টো। রমজান উপলক্ষে এখন যে হারে দাম বাড়ছে তাতে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে।

কেন্দুয়া কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী ছবি মিয়া বলেন, ‘এখন মোকামেই সবজির দাম বেশি। তাই আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এক কেজি বেগুন পাইকারিতে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দাম পড়ে। তাহলে আমরা কত বিক্রি করব?’ প্রশ্ন রেখে বলেন সবজি বিক্রেতা।

কেন্দুয়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে বেগুনের দাম। ঢেঁড়স, পটল, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা দরে। ১০ টাকা বেড়ে ঝিঙা ৭০ টাকায়, ২০ টাকা বেড়ে বরবটি ৬০ টাকায়, ২০ টাকা বেড়ে করলা ৯০টাকায়, ১০ টাকা বেড়ে গাজর ৩০টাকায়, লাউ ৪০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩০ ডাকা, শসা ১০০-১২০ টাকা এবং লেবু প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ২০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ২০ টাকা বেড়ে ধনে পাতা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ক্ষীরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

তবে সবজির দাম বাড়লেও গরুর মাংসসহ তেল, ডাল, ছোলা চিনির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। অবশ্য এসবের দাম আগেই বেড়ে আছে। বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে মাছের দাম। রুই, কাতলা বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। তেলাপিয়া, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায়।

হাড়সহ গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। আর হাড় ছাড়া ৭৫০ টাকা। ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়, সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি সাড়ে ৪১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭৫ টাকা। খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৩০ টাকা। চিনি ১৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়।

বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, আমাদের আজ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে, নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে, কেউ যদি সিন্ডিকেট করে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :