স্বাধীনতা দিবসে যে ভাবনাগুলো ঘুরেফিরে আসে

মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম
| আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪২ | প্রকাশিত : ২৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৭

আজ ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস। তার মানে আমরা স্বাধীন দেশ হিসেবে ৫৩টি বছর পার করে ফেলেছি। এই সময়ে আমাদের অর্জন, সফলতা ও বিফলতা হিসেব কষার জন্য যথেষ্ট কি না! আমরা যদি এখনো বলি নতুন স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশ বা স্বাধীনতার খুব বেশি সময় পার করিনি সেটা বলার আর যৌক্তিকতা রয়েছে বলে মনে করি না। স্বাধীন দেশের মূল লক্ষ্য ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য মুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা। সকল নাগরিক আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী ও আইনের চোখে সমান থাকবে। সংবিধান ও দেশের আইন কানুন অনুযায়ী রাজনীতি করার সমান সুযোগ সুবিধাসহ ভোটের ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে ও সাথে মৌলিক মানবাধিকার সুন্দরভাবে উপভোগ করবে দেশের প্রতিটি নাগরিক। আজকের লেখার মূল প্রতিপাদ্য হলো স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আমাদের যা যা পাওয়ার কথা ছিল বা যতটুকু উন্নয়ন ও উন্নতি সাধন হওয়ার কথা ছিল তা হয়েছে কি না বা এ বিষয় বর্তমান প্রজন্ম ও মুরব্বিদের ভাবনা ইতিবাচক না নেতিবাচক তা খতিয়ে দেখা।

বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে এই দেশের নিজস্ব মানচিত্র, পতাকা ও স্বার্বভৌমত্ব রয়েছে। রয়েছে একটি শক্তিশালী সংবিধান। জনগণ ও রয়েছে উল্লেখ্য সংখ্যক। বাংলাদেশ এখন মোটাদাগে পৌরনীতি ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ভাষায় একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ- এ বিষয় কারো কোনো দ্বিমত কিংবা দ্বিধা নেই। সমস্যা যেসব জায়গায় রয়েছে সে বিষয় কিছু কথা না বললে লেখাটি অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। স্বাধীন দেশ হিসেবে আমরা পুরোপুরি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হতে পেরেছি কি বা পারলেও কতটুকু পেরেছি। দেশের কত শতাংশ মানুষ এখনো গৃহহীন রয়েছে। মৌলিক অধিকার বঞ্চিত মানুষের জন্য রাষ্ট্র কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। কত পারসেন্ট মানুষ অদ্যাবধি নিরক্ষর রয়েছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে দুর্নীতি বন্ধ হয় না কেন? নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রয়েছে কি-না। আত্মহত্যা করে এখনো মারা যাচ্ছে কেন? বা আত্মহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্র কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি বন্ধ হচ্ছে না কেন? ভিক্ষাবৃত্তি কেন বাড়ছে। সার ও কীটনাশকের দাম বাড়তি কেন? কৃষক কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না কেন? এরকম হাজারো প্রশ্ন করা যাবে। প্রশ্নের ভিতর আরেক প্রশ্ন আসলেই কি আমরা স্বাধীনতা প্রকৃত সুখ পাচ্ছি না বা কেন পাচ্ছি না। এসব প্রশ্নের উত্তর কে দিবে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান কে নিশ্চিত করবে। বঙ্গবন্ধু যথার্থই বলেন যে, ‘এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের মানুষ যারা আমার যুবক শ্রেণি

আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়।’

জনগণকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিবে কে? এক কথায় উত্তর হলো রাষ্ট্র ও জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।উপরোল্লিখিত প্রশ্নের উত্তর দিবেন যেটাকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ভাষায় জবাবদিহিতা বলে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হয়েছে সত্যি কিন্তু এই স্বাধীন দেশের কিছু সমস্যা রয়েছে। সমস্যার পিছনে ইতিহাস রয়ে গেছে। কিছু কিছু সমস্যা আজ-ও সমাধান হয়নি। যেমন- রাজনৈতিক বিভাজন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ও বিপক্ষের শক্তি। দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল স্বাধীনতার অধিকাংশ বছরগুলোতে দেশ শাসন করেছে। এর একটি দল স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি মনে করে আরেক দলকে মনে করে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়েও রয়েছে রাজনীতি। বৃহৎ দুটি রাজনৈতিক দলের রেষারেষি, রাজনৈতিক ভুল ও টানাপোড়েনের কারণে এক দশকের অধিক সময় সামরিক সরকার দেশ শাসন করেছে। ইতোমধ্যে সামরিক সরকারের সকল কার্যক্রম আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল ও যাঁরা রাজনীতি করেছেন বা করছেন তাদের অদূরদর্শিতা ও দেশপ্রেমের কারণে আমরা স্বাধীনতার যে প্রকৃত সুখ তা অর্জন করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু আরও বলেন, অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোনোদিন একসাথে হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই। তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়। আর দেশপ্রেমহীন ও অযোগ্য কাপুরুষ রাজনীতিবিদগণ-এর জন্য দেশের উন্নয়ন সাধিত হয় না।

ধরুন সরকারের তিনটি বিভাগ সমন্বয় করে দেশের উন্নয়ন কাজ না করে একটা বিভাগ আরেক বিভাগের উপর খবরদারিসহ নিজ নিজ বিভাগের বাহাদুরি জাহির করতে ব্যস্ত। যেমন বিচার বিভাগ বিচার-আচার করবে এটা স্বাভাবিক। তা না করার সুযোগ দিয়ে নির্বাহী বিভাগ সরকারের উচ্চমহলকে ম্যানেজ করে মোবাইল কোর্ট-এর মতো সমান্তরাল বিচারিক কার্যক্রম চালু রেখেছে যা পৃথিবীর কোথাও নেই। আবার পদোন্নতি, বদলী, বেতন-ভাতা নির্ধারণসহ আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতায় ভুগতে থাকে অন্যান্য বিভাগের চাকরিজীবীগণ। এসব হয়ে আসছে বৃটিশ আমল থেকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব থাকবে একজন ডাক্তার যিনি চিকিৎসা বিষয় পারদর্শী, কৃষি খাত, প্রকৌশল ও শিক্ষাখাতে ও এরকম সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষজ্ঞ লোকজন থাকার কথা কিন্তু তার ব্যত্যয় আজও দেখি। এসব ঘটছে দেশপ্রেম না থাকার ফলে। ফলে স্বাধীনতার ৫৩ বছরে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্তি যেমনটা হয়নি তেমনই রয়েছে সবখানে ও খাতে রয়েছে বৈষম্য। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ ভূমি অফিস ও আদালতে দুর্নীতির কথা কারোরই অজানা নয়। দেশের অর্থনীতি আজ হুমকির মুখে। অবৈধভাবে টাকা পাচার করে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। ব্যাংকলুট ও বেনামি লোনের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত আজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। এছাড়া আরও যেসকল ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছে সেগুলো মোটাদাগে নিম্নরূপ:

১.স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আমরা বিজয়ের পরিপূর্ণ সুফল পাচ্ছি না। আমাদের এই বিজয় কেবল একটি জাতীয় পতাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং বৈষম্যহীন দেশ গঠনের প্রেরণা। মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। সুদীর্ঘ ৫৪ বছর একটি জাতির জন্য কম সময় নয়, কিন্তু এই সুদীর্ঘ সময়ে দেশের মানুষ যে জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিল সেই বাক্ স্বাধীনতা, সেই ভোটাধিকার, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, জননিরাপত্তা আজও সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। প্রতিষ্ঠিত হয়নি মানুষের মৌলিক অধিকার। ক্যাম্পাসে দলীয় ছাত্রসংগঠনগুলোর দৌরাত্ম্য ও প্রশ্ন ফাঁস শিক্ষাখাতে কাঙ্ক্ষিত অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করছে। দেশজুড়ে মাদকের ছড়াছড়ি তরুণ সমাজকে অন্ধকার জগতে ঠেলে দিচ্ছে। সর্বোপরি স্বাধীনতার সম্পূর্ণ সুফল পেতে আমাদের একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

২. পৃথিবীর ইতিহাসে যতগুলো দেশ যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশের ইতিহাস অনেক হৃদয়বিদারক। ‘বাংলাদেশ স্বাধীন’ এই কথাটা উচ্চারণ করতে ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জত ও সম্ভ্রমহানিসহ মোট ৩০ লাখ জীবনকে বিলিয়ে দিতে হয়েছে। স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। জীবনকে আনন্দময় করে তোলে স্বাধীনতা। স্বাধীন দেশে সবাই জীবনকে উপভোগ করবে- এটা সবারই প্রত্যাশা। কিন্তু দুর্নীতি ও অসাধুতার কারণে আজকাল নাগরিক জীবনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। যেটা আমাদের স্বাধীনতাকে অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাই এই স্বাধীনতার মাসে সবার প্রত্যাশা হোক দুর্নীতি ও অসাধুতাকে রোধ করে স্বাধীনতার রঙে জীবনকে সাজিয়ে শহিদদের আত্মত্যাগকে সম্মান করার।

৩. পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে ২৬শে মার্চ এর আগের রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা এসেছিল এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পুরো বাংলাদেশ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। বাঙালি জাতি স্বাধীনতার সূর্য সেদিন ছিনিয়ে এনেছিল ঠিকই, কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা কতটুকু স্বাধীন হতে পেরেছি? কতটুকু পেয়েছি স্বাধীনতার স্বাদ? রয়ে গেছে আমাদের দারিদ্র্য, বঞ্চনা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি; যা স্বাধীনতার স্বাদ নষ্ট করছে। তারপরও বলি আমরা স্বাধীন। দেশটা স্বাধীন কিন্তু আমরা পরাধীন। আর এই পরাধীনতার দায় আমাদের। আমরা যদি সবাই মিলে এক সুরে আবার বলতে পারি কথা, লড়াই করতে পারি, সাম্প্রদায়িকতা থেকে শুরু করে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গি, স্বাধীনতার সব শত্রুর বিরুদ্ধে। ৭১-এর মতো আমরা আবার চিন্তা ও মননে হবো স্বাধীন। ফিরে পাবো স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ।

৪. ২৬শে মার্চ ১৯৭১ সাল। সাত কোটি বাঙালির প্রতিজ্ঞা, সংকল্প, দৃঢ়তা আর মুষ্টিবদ্ধ হাত এই দিনে এক হয়েছিল । সঙ্গে রক্তে জেগে ছিল তেজ, চিন্তায় ছিল প্রখরতা, চোখে ছিল প্রত্যয়; যা বাঙালিকে বিজয় এনে দিয়েছে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও স্বাধীনতা উপহার দিয়েছে। কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রধান উপজীব্য যে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসংকীর্ণ অর্থে জাতীয়তাবাদ তা এখনো কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য খুঁজে পায়নি। যে যাত্রা নিরন্তর। তবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন করাটা আরো বেশি প্রাসঙ্গিক আর সত্যিকার অর্থে এটারই প্রচণ্ড অভাব। তারুণ্যর স্বাধীনতার ৫৩তম বছরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি।

৫. স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে শুধু নিজস্ব একটি ভূখণ্ডের জন্য নয়, বরং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু এতগুলো বছর পার করেও আমরা সেই উদ্দেশ্যগুলো পুরোপুরি পূরণ করতে পারিনি। বিগত ১৫ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটলেও এখনো আমাদের দেশটা বেকারত্ব, দুর্নীতি, নারীর নিরাপত্তাহীনতা, সীমান্ত হত্যা, কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করতে না পারাসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষ করে যেই শিক্ষা ক্ষেত্রকে একটি জাতির মেরুদনণ্ড বলা হয়; সেই শিক্ষা ক্ষেত্রেই আমরা কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে পারিনি। স্বাধীনতার ৫৩তম বর্ষপূর্তিতে সরকার এসব সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করবে এবং স্বাধীন এই প্রিয় দেশটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে- এটাই প্রত্যাশা।

৬. স্বাধীন ও স্বপ্নের সোনার দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে গর্বিত জাতির ৫৩তম মহান স্বাধীনতা দিবসে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত দেশের প্রতিজ্ঞা করি। বাংলাদেশ সরকার, প্রশাসন ও জনগণের শুধু সচেতনতা দিয়েই হবে না, সবাই সবার জায়গা থেকে দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসলে অবৈধ কাজ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত দেশ গড়ি, ভবিষ্যৎ সুন্দর করি।

পরিশেষে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাই। অন্যকে সম্মান করার মানসিকতা আরও সমৃদ্ধ হউক। ভিন্ন মতকে সম্মান জানানোর সংস্কৃতি আরও ইতিবাচক হোক। বৈষম্যের অবসান হবে সব ক্ষেত্রে এরকম স্বপ্ন দেখি হরহামেশা। মৌলিক চাহিদাসমূহ যেমন- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, কর্মস্থানের সুবিধা প্রতিটি নাগরিক সমানভাবে পাক । হিংসা-দ্বেষ ও ঈর্ষার অবসান হোক। স্বাধীনতার চেতনার পূর্ণ জয় হোক।

মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম: কলামিস্ট ও আইন গবেষক

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :