অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা দেশের মানুষের জন্য কোনো কাজ করেনি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা অবৈধভাবে বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করেছিল তারা দেশের জন্য ও মানুষের জন্য কোনো কাজ করেনি। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য।
সরকারপ্রধান বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের শুরুতেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমিষের চাহিদা মেটাতে বহুমুখী সমবায় গঠন করে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রাকৃতিক সম্পদ, মানুষ ও পশুপাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তিনি। মাটি, প্রকৃতি ও মানুষকে নিয়ে দেশ গড়তে চেয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা এসব নিয়ে আর আগায়নি। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়াকে বিএনপি ভালোভাবে নেয়নি। কারো কাছে হাত না পেতে মাথা উঁচু করে থাকতে চাই। সেই আদর্শ নিয়েই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিএনপি বিদেশি সাহায্যের আশায় এই খাতে উন্নয়ন করেনি। ভিক্ষুক জাতির সম্মান থাকে না। বিএনপি দেশকে করুণ অবস্থায় রেখে যায়। সে অবস্থা থেকে আজ দেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক দূর এগিয়েছে। দেশে কৃষি ও খামারের উৎপাদন বাড়াতে সরকার সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি কৃষি উৎপাদন ও তার প্রক্রিয়াজাতকরণে পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি প্যাকেটজাতকরণে আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি অনুসরণ করার কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার দেখার পথ ধরেই দেশকে উন্নত করার সব কর্মযজ্ঞ এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের কল্যাণে এবং মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
ব্যক্তিস্বার্থ দেখতে গিয়ে বিভিন্ন খামারে যারা ক্ষয়ক্ষতি করেছেন তাদেরকে হুঁশিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুষ্টি নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দুধ, ডিম, মাংস, মাছ উৎপাদন কয়েকগুণ বৃদ্ধি হয়েছে। কৃষি ভর্তুকিসহ কৃষি ও কৃষকদের জন্য গবেষণা সহযোগিতা করার সফলতা আসছে।
‘প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর দেশে খাদ্য ঘাটতি হবে না। খালেদা জিয়ার সরকার ডাল-ভাত খাওয়ানোর ঘোষণা দিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। আবার আলু খাওয়ানোর পরিকল্পনা করছিল। খাদ্যশস্য ও তেলের দাম বাড়ছে যখন তখন আমদানি না করে নিজেদের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া বিষয় অব্যাহত থাকবে।’
তিনি গবাদিপশু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে লালন-পালন করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করার দিকে যেতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানান।
(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/জেএ/ইএস)