পরীক্ষা স্থগিত করল বুয়েট

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৮| আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৮
অ- অ+

পূর্বনির্ধারিত চলমান পরীক্ষাসমূহ স্থগিত করল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রশাসন।

শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

বিষয়টি সভার একাধিক সদস্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কবে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিক জানান, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করায় আজ একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এসব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তবে কবে সেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবেসে জন্য আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসব, আলোচনা করব, এরপর নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।

শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানো এবং হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে আমরা একটা সমাধান করব। আর হাইকোর্ট এর লিখিত আদেশ না পাওয়ায় আমরা এখনো সেদিকে চিন্তাভাবনা করিনি। লিখিত আদেশ পেলে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।

বুয়েট সূত্রে জানা যায়, ঈদ ও নববর্ষের ছুটির পর গত বুধবারের পরীক্ষায় ব্যাচের ১ হাজার ২৭৯ জনের মধ্যে মাত্র ৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। তাদের পাঁচজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বৃহস্পতিবার ২২তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১ হাজার ৩০৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কোনো শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অংশ নেননি। আজও ২০ ব্যাচের কেউ টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেননি। ঈদের আগেও কয়েকটি পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী অংশ নেননি।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তা না পেলে পরীক্ষা কিংবা ক্লাসে ফিরবেন না তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বুয়েটের এক শিক্ষার্থী ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমাদের যে দাবি ছাত্ররাজনীতি বিরুদ্ধে সেটিতে আমরা অনড় রয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমরা ক্লাস পরীক্ষায় ফিরব না। আমরা পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষাগুলো বর্জন করেছি। সকল শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ফিরলে আমরা আবারো আন্দোলনে নামব।

উল্লেখ, গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে বুয়েটে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের প্রবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাদ্দাম হোসেনকে প্রবেশে সহযোগিতা করা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ও বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বি হলের সিট বাতিল ও ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে প্রশাসন। পরে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে গেলে সিট ফেরত দিতে ও ছাত্ররাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/এসকে/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনে গণভোটের বিষয়ে ঐকমত্য: আলী রীয়াজ
‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধি পেতে ইচ্ছুক নন ড. ইউনূস: প্রেস উইং
এসএসসিতে আফরিন কবির জিদনীর কৃতিত্ব
রূপগঞ্জকে শান্তির মডেল গড়তে ঐক্যের ডাক দিলেন সেলিম প্রধান, ১৮ জুলাই রোডমার্চ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা