গরমে পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা সৈকত

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৯ | প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৪

তীব্র দাবদাহে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে পটুয়াখালীর সমুদ্র কন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সৈকত। দীর্ঘ ৩০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতে হাতেগোনা কিছু পর্যটকের উপস্থিতি থাকলেও কোলাহল ও মুখরতা নেই বললেই চলে। সৈকতজুড়ে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেছেন অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহের কারণে চলমান মৌসুমে পর্যটক কমেছে। এতে করে সংশ্লিষ্ট ১৮টি পেশায় জড়িত নিম্ন আয়ের মানুষরা পড়েছে অর্থনৈতিক সংকটে।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বিশেষ দিন ও ছুটিরদিন ছাড়াও হাজারো দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে। এর প্রধান কারণ হিসেবে রয়েছে পদ্মা সেতুর সুফল। স্বল্প সময়ে এই সৈকতে আসা যায় বলে এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভ্রমণ প্রিয় মানুষ কুয়াকাটায় এসে ভিড় জমায়। সকাল, দুপুর, বিকাল কিংবা গভীর রাত পর্যন্ত পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে সৈকত। ঈদ পরবর্তী সপ্তাহ জুড়ে কুয়াকাটার পর্যটন স্পটগুলোতে ছিল পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু গত দুইদিন ধরে কুয়াকাটা থেকে পর্যটক কমতে শুরু করেছে। আজ কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে পর্যটকহীন এ দৃশ্য দেখা গেছে।

চলমান মৌসুমে সাগরের বড়বড় ঢেউ তীরে আঁছড়ে পড়ছে। এমন দৃশ্য দেখতে অনেকেই অপেক্ষা করেন এই সময়ে। কিন্তু অস্বাভাবিক গরমের কারণে এখন সমুদ্র সৈকত পর্যটক শূন্য। গুটি কয়েক পর্যটক ভ্রমণে আসলেও তারা তীব্র তাপদাহের কারণে বের হচ্ছেন না হোটেল থেকে।

এদিকে কলাপাড়াসহ উপকূলজুড়ে অসহ্য তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৈদ্যুতিক পাখার বাতাসেও মিলছে না স্বস্তি।

প্রচণ্ড গরমের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। তীব্র তাপদাহে দিশেহারা দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার চাষিরা এবং কৃষিক্ষেত্র। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গরমে ঝলসে যাচ্ছে ফসল। গভীর নলকূপ ও পাম্প থেকে সেচ দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। জমিতে পানি দিলেও নিমেষে তা মাটির গভীরে চলে যাচ্ছে। তীব্র রোদে ঝরে যাচ্ছে গাছের আম, লিচু, লেবু ও কাঁঠাল। দেখা দিচ্ছে পানি বাহিত বিভিন্ন রোগ।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, গরমে পর্যটক এসে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। যে কারণে মানুষ এসে টিকতে পারছেন না। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কিছু ট্যুরিস্ট আসছিল এরপর থেকে প্রচণ্ড গরমের কারণে বর্তমানে হোটেল-মোটেলের সিট ফাঁকা রয়েছে। সাগর পাড়ে এসে মানুষ উত্তাপে টিকতে পারছে না। লবণাক্ত পানিতে শরীর শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. জিল্লুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবৎ এর আশেপাশে অবস্থান করছে তাপমাত্রা। আগামী আরও এক সপ্তাহ এ অবস্থা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তাই তাপমাত্রা না কমা পর্যন্ত সকলকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বরিশালের আশপাশে বৃষ্টি হলেও কুয়াকাটায় বৃষ্টি নেই। এটা অ্যালার্মিং বিষয়। আগামী এক সপ্তাহে বৃষ্টি না এলে অন্য সিমটম দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড় হতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :