৭ নম্বর বিপৎসংকেত

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা, দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৬ মে ২০২৪, ০৯:০৬ | প্রকাশিত : ২৫ মে ২০২৪, ২৩:২৮

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হওয়ার পর এর প্রভাবে রবিবার সারাদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে সমুদ্র উপকূলে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারি করেছে সংস্থাটি। রেমালের প্রভাবে উপকূলজুড়ে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর।

শনিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপটি সন্ধ্যা ছয়টার দিকেই ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’এ পরিণত হয়। এ কারণে পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রবিবার দেশের আট বিভাগেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর প্রভাবে দেশের উপকূলের ১৫ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথাও বলেছে আবহাওয়া সূত্র।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের স্বাক্ষর করা ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে সন্ধ্যা থেকেই উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে আছে ঝোড়ো হাওয়া।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল আজ (শনিবার) সন্ধ্যা ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫মে/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :