বোয়ালমারীতে বরযাত্রী সেজে মোবাইল চুরি, ছদ্মবেশে চোরকে ধরলো পুলিশ
বরযাত্রী বেশে অতিথিদের পকেট মারাই ছিল তাদের পেশা। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কৌশলে বরযাত্রীদের সঙ্গে মিশে অভ্যর্থনা গেটে বা ভিড়ের মধ্যে দুই আঙ্গুলের নিপুণ কারসাজি করে আসছিল। অবশেষে ধরা পড়ল।
তিনদিন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানোর পর বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ওই চক্রের সদস্য কালন শেখ সজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত যুবক কালন শেখ ওরফে সজীব (৩৩) গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ভাকুরী গ্রামের চুন্নু শেখের ছেলে।
এর আগে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে একটি বিয়ে বাড়িতে বর ও বরযাত্রীদের পকেটমারার সময় মোবাইল ফোনের ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়ে কালন শেখের মোবাইল চুরির দৃশ্য।
থানা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী গ্রামে জামল শেখের মেয়ের সঙ্গে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের আরাজী পাইকহাটি গ্রামের হাফিজুর মাতব্বরের ছেলে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে বিবাহ হচ্ছিল। অনুষ্ঠানে বর ও বরের বোন জামাই হাবিবুর রহমানের পকেট থেকে দুটি মোবাইল ও মানিব্যাগ হাতিয়ে নিয়ে শটকে পড়ে পকেটমার। দৃশ্যটি এক বরযাত্রীর মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওতে ধরা পড়ে। মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই অজ্ঞাত পকেটমারকে শনাক্ত করতে মাঠে নামে বোয়ালমারী থানা পুলিশ।
অভিযান শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিযানের বর্ণনা তুলে ধরেন অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
বর্ণনা অনুযায়ী জানা যায়, বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম কখনো পল্লিবিদ্যুতের লাইনম্যান কখনো এনজিও কর্মী সেজে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কালন শেখেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় চুরিকৃত মোবাইলও উদ্ধার করা হয়।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বেশ কয়েকটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে। বিয়ে বাড়িতে যখন বর প্রবেশ করে, তখন কৌশলে তারা বরযাত্রীর বেশ ধারণ করে কনের বাড়িতে প্রবেশ করে মোবাইল হাতিয়ে নেওয়ার মৌখিক অভিযোগ পাই। এই সূত্র ধরেই চোরচক্রের অন্যতম হোতা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ভাকুরী গ্রামের চুন্নু শেখের ছেলে কালন শেখ সজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে হাবিবুর রহমানের দায়েরকৃত মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চক্রটির সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
(ঢাকাটাইমস/০৫জুলাই/পিএস)