কোটা-সংস্কার আন্দোলনের পরিবর্তিত গতিমুখ সম্পর্কে সজাগ হোন
কোটা-সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে যে সকল ছাত্র-ছাত্রী নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এই লেখার অবতারণা করছি। বর্তমানে কোটা-সংস্কার আন্দোলন নতুন মোড় নিয়েছে। আন্দোলনকারীদের সকল দাবি সরকারের তরফ থেকে মেনে নেওয়া হয়েছে বটে কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এর কারণ এই আন্দোলনটি করতে গিয়ে অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় করতে গিয়ে ইতোমধ্যেই দুইশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদের বিচারের দাবিতেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনটি এখন এক নতুন গতিমুখ পেয়েছে। আমার মনে হয়েছে- বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বেশ কিছুদিন হতে প্রবহমান সমস্যা বা দুর্ঘটনাসমূহ একটু কাণ্ডজ্ঞান খরচ করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেত।
এটা সবাই বুঝতে পারছে যে- একটি নিষ্পাপ আন্দোলনকে সহিংস করে তোলা হয়েছে। সারা দেশের কোটা-সংস্কার আন্দোলনের মতো মাদারীপুরে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ ধাওয়া করলে আন্দোলনকারীরা পানিতে ঝাপ দেয় এবং একজন নিহত হয়। এ ছাত্রদের কোনো ব্যক্তিস্বার্থ ছিল না। তাদের কোনো পিছু টান নাই। কোনো জড়তা নাই। এ চিত্র সারা দেশের। সব জায়গায়ই পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ব্যাপক প্রাণহানিসহ প্রচুর সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
আমরা জানি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে যুবকরা। এ যুবকরা সামাজিক মাধ্যমকে পকেটে নিয়ে ঠিকই অকাতরে জীবনবাজি রেখে এ আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। দেখা গেছে নারীরা আরো একধাপ এগিয়ে, তারা নির্দ্বিধায় বলছেন আমাদের নারী কোটার দরকার নাই। আমরা কোটা-সংস্কার চাই। বলার অপেক্ষা রাখে না- ক্ষমতাসীন দলের কার্যক্রমে দেশবাসী দীর্ঘদিন ধরে খুবই বিরক্ত। দেশে হাজারো সমস্যা বিরাজমান। প্রতিদিনই অনেক ইস্যুর সৃষ্টি হচ্ছে। বিএনপি জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলো জনগণের স্বার্থে এসব ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করতে পারতেন। তা না করে তারা ঘোষণা দিলেন শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে সবাই সম্পৃক্ত হন। আমি মনে করি- সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা অগ্নিসংযোগ ও ত্রাস সৃষ্টি করার কথা নয়। অন্য কোনো তৃতীয় পক্ষ যুক্ত হয়ে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে মাসব্যাপী এই আন্দোলনে। বিএনপি জামায়াত অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিতর্কিত করছে। কাজটা খুবই অনৈতিক হচ্ছে। দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ অনেক সমস্যা এখন বিরাজমান। তারা এসব সমস্যা চোখেও দেখেন না। মন্ত্রীদের দেখা যাচ্ছে দায়িত্বহীন বক্তব্য দিয়ে বিতর্কিত হতে। আমাদের একজন মন্ত্রী বললেন, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণহানির জন্য ফেসবুক-ইউটিউব দায়ী। যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন হলে ঐ প্রতিষ্ঠানের সকল ছাত্র-ছাত্রীর শামিল হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাহলে কর্মসূচিতে এ ঢুকেছে ও ঢুকেছে এসব বলে কী লাভ? বরং দেখতে হবে আন্দোলনের যৌক্তিকতা কতটুকু।
আমার অভিজ্ঞতা বলে- বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জের টাউট, বাটপার ও তৃণমূল পর্যায়ের অখ্যাত লোকজন অনেক অপ্রয়োজনীয় কথা বলে নানাবিধ বিশৃংখলা সৃষ্টি করে। কিন্তু আমাদের সরকারের শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিগণ যখন অশোভন, অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রয়োজনীয় কথা বলে আগুনে ঘি ঢেলে দেন, তখন এর সমাধান করা খুবই কঠিন হয়ে যায়। তৃণমুল পর্যায় হতে ভুল শুধরাতে কেন্দ্র রয়েছে। কেন্দ্র হতে এ ধরনের অহেতুক কথা বলার খেসারত এখন জাতি দিচ্ছে। অনেকে সাপোর্ট করতে গিয়ে বলেন- এটা কথার কথা বলেছে। আমরা বাগ্ধারায় পড়ে এসেছি ‘কথার কথা মানে বাজে কথা’। একজন ব্যক্তি যার কথা হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তিনি কীভাবে বাজে কথা বলেন। অত্যন্ত বিজ্ঞ ও পোড় খাওয়া রাজনীতিবীদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন- আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেকে প্রতিহত করার জন্য ছাত্রসংগঠনই যথেষ্ট। তিনি কি জানেন না, কোনো ছাত্রসংগঠনের কি আইনগত ভিত্তি রয়েছে তারা অন্যকোনো সংগঠন ভুল করলে ব্যবস্থা নিবেন? বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। একটি ন্যায়সংগত ছাত্র আন্দোলনে এই যে অসংখ্য মানুষের জীবন চলে গেল নিশ্চয়ই এর দায়ভার কাউকে নিতে হবে। তিনি গত ১৮ই জুলাই বলেছেন- ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। তিনি কার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বললেন? বিষয়টি বোধগম্য নয়। এই প্রতিরোধ করা বলার সঙ্গে সঙ্গে কতিপয় দুর্বৃত্ত আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে পুলিশের সঙ্গে থেকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে গুলি ও নির্যাতন করা শুরু করলো।
স্মর্তব্য, গত ১৪ই জুলাই রাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা চীন সফর বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সূত্র ধরে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘চাইতে গেলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’ এ ধরনের স্লোগান দেয়। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য অনেকটা সক্রেটিক আয়রনির মতো ছিল। অর্থাৎ প্রাধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে যেমন বলেছিলেন- ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও পাবে না? তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে? আমার প্রশ্ন দেশবাসীর কাছে। তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে, মুক্তিযোদ্ধারা পাবে না।’ এই বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আয়রনির মতো করে অর্থাৎ বিপরীতধর্মী শ্লেষপূর্ণ বক্তব্যের আদলে নিজেদের রাজাকার হিসেবে উল্লেখ করে এই স্লোগানগুলো দিয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই স্লোগান মোটেও নিজেদের ‘রাজাকার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দেয়নি। বরং তাদের বক্তব্যকে আরো জোরালোভাবে প্রকাশ করতেই তারা এই শ্লেষপূর্ণ বিপরীতধর্মী স্লোগানগুলো দিয়েছে। এতে তো দোষের কিছু দেখি না।
মনে রাখতে হবে- শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনটা কোনোভাবেই কোটাবিরোধী নয়- মূলতই কোটা-সংস্কারের। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কখনোই বলছে না যে- নারী কোটা, জেলা কোটা, পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠী বা আদিবাসী কোটা কিংবা প্রতিবন্ধী কোটা বাদ দেওয়া হোক। তারা বলছে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিদের জন্য যে ৩০% কোটা নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে, এটাকে কমানো হোক। যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেরা এবং তাঁদের সন্তান-সন্তুতি পর্যন্ত সরকারের দেওয়া যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন কিংবা এখনো পেয়ে আসছেন- এটা নিয়ে তো কারো মধ্যে কোনো প্রশ্ন দেখা দেয়নি। কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধার তৃতীয় প্রজন্ম অর্থাৎ তাঁর নাতি-নাতনির জন্যও ঠিক একই রকম সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকবে কেন- এখানেই এসে কোটা-সংস্কারের বিষয়টি সামনে চলে আসে। আর দেশের কোনো মুক্তিযোদ্ধাই তো এই দাবি করেনি যে, তাদের নাতিপুতিদেরও সরকারি কোটায় চাকরি দিতে হবে। বরং অনেক মুক্তিযোদ্ধাই এখন বলছেনÑ ‘আমরা আমাদের নাতিপুতিদের এই কোটা পদ্ধতির সুবিধাপ্রাপ্তির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি।’বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে- ন্যায্য দাবি আদায় করতে গিয়ে মানুষ আক্রমণের শিকার হচ্ছে। গণমাধ্যমগুলো এক্ষেত্রে বলে এ পক্ষের সঙ্গে ও পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় এক বা একাধিক ব্যক্তি বললেন, যারা ২০১৮ সালে কোটা নিয়ে আন্দোলনে করেছেন তাদের মধ্যে একজনও বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন নাই। কেউবা আবার বললেন- মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা অন্যদের চেয়ে বেশি মেধাবী।
চলমান কোটা-সংস্কার আন্দোলনে আমি আমার একটি অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে চাই। আন্দোলনের সময় আমি নিজে কোনো এক ভবনের উপরে ছিলাম। দালানের উপর থেকে স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করলাম, পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ছাত্রদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ। পুলিশের টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট নিক্ষেপ, পুলিশের সঙ্গে দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র সজ্জিত বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। দেখা গেছে পুলিশ খুবই তৎপর। ছাত্ররা ভুয়া ভুয়া বলতে বলতে এক পর্যায়ে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডের কারণে গলিতে ঢুকতে বাধ্য হয়েছে। কোনো সভ্য দেশে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কোনো রাজনেতিক দলের নেতা-কর্মীরা অস্ত্র হাতে অবস্থান করে বলে আমার জানা নাই। দুর্বৃত্তরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়ো ক্ষতিটা সংগঠিত করলো মেট্রোরেলের। মেট্রোরেল স্টেশনটি বলা যেতে পারে গুড়িয়েই দিলো।
সরকার ২০১৮ সালে ১ম এবং ২য় শ্রেণির চাকুরীর কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে। সরকারের এই পরিপত্রটি হাইকোর্ট বিভাগ বাতিল করে দেয়। সরকার তার পরিপত্র রক্ষায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে। এই আপিল করা মানেই হলো সরকার কোটা বাতিলের পক্ষে। কিন্তু সরকারের মন্ত্রী ও ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতাদের কথাবার্তা ছিল কোটার পক্ষে। বিষয়টি একেবারেই দ্বিমুখী নীতি এবং হাস্যকরও বটে।
বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক বললেন- ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। তিনি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বললেন তা বোধগম্য নয়। গত ১৮ই জুলাই সকাল হতে ঢাকা শহরের প্রায় সকল কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীরা গলায় ব্যাচ ও হাতে লাঠি নিয়ে তাদের দেওয়া বাংলা ব্লকেডে অংশগ্রহণ করেছেন। যথারীত তারা সেøাগান দিয়ে রাজপথ প্রকম্পিত করেছেন। সকাল ১০টার মধ্যে পুরা ঢাকা শহর কার্যত অচল। বিষয়টি এমন ছিল যে, ঢাকা শহর যেন নিজেই অচল হতে ইচ্ছুক এবং ঢাকা শহর যেন এ আন্দোলনকারীদের হাতে স্বেচ্ছায় অচল হতে চায়। পুলিশ ও তাদের গতানুগতিক অ্যাকশন নেওয়া শুরু করলেন। কিন্তু ব্যর্থ। পুলিশের নেওয়া পদক্ষেপ গুলি দেখে মনে হলো, ঢাকা শহর অচল হওয়ার ষোলোকলা দায়িত্ব কি পুলিশ নিলো? যদি তা নাই হতো উনারা কি জানেন না, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও গুলি করে কখনো কি রাস্তা সচল করা যায়? রাস্তায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পর পিকেটাররা না থাকলেও কি কেউ গাড়ি বের করবেন।
বাংলাদেশের একজন অভিভাবক যাকে দেশব্যাপী শিক্ষাবিদ হিসেবে অনেকেই জানেন। তিনি এদেশের ছাত্র সমাজের অন্যতম অভিভাবকও ভাবেন নিজেকে। তিনি বললেন আমার প্রিয় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে আর কখনো যাবো না, গেলেই রাজাকার দেখতে পাবো। তিনি কোথায় থেকে রাজাকার দেখতে পাবেন, উহা আমার বোধগম্য নয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে বলেছেন এ আন্দোলনে ছাত্রলীগ যেন উস্কানী না দেয়। অন্যদিকে তারই দলের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলে দিলেন আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাস্তায় নামার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া শুরু করলো। কারণ তারা নির্বিচারে গুলি করেন নাই। তাদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের কোনো অস্ত্রধারীও ছিলেন না। বাংলাদেশ সরকারকে বলব-এ ঘটনা হতে এখনই শিক্ষা গ্রহণ করতে। আমি মনে করি, সরকারের কেবল কাণ্ডজ্ঞান খরচ করলেই দুই শতাধিক প্রাণ বিসর্জন হতো না। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া জানমালের এত ক্ষতি হতো না। এখনো সময় আছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে বসে আলোচনার মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান করুন। এই আন্দোলনকে আর উস্কে দিবেন না। অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে, আর যেন কোনো মায়ের বুক খালি না হয়। শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত দাবিগুলো মেনে নিয়ে এখনি দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনুন।ড. আনোয়ার হোসেন: আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী সংগঠন ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল এন্টি এ্যালকোহল-এর সভাপতি