চাঁদপুরে ঐক্যবদ্ধ প্রশাসন ও রাজনৈতিক দল, খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট ২০২৪, ২২:৩৩

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সারাদেশের মতো চাঁদপুরেও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় আগুন, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনাও ঘটছে। এসব থেকে বেরিয়ে শান্তিপূর্ণ চাঁদপুর জেলা গঠনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের অংশীজন। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী রাজনৈতিক দলের নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে জেলা উপজেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।

বুধবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াত, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিশ, গণফোরাম জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সভায় অংশ নেন।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় চাঁদপুরে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল তাকবীর আবদুল্লাহ, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল, জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহম্মেদ মানিক, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রহিম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সলিম উল্লাহ সেলিম, গণফোরামের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর, হেফাজতে ইসলাম চাঁদপুর জেলা সভাপতি মাওলানা লিয়াকত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, প্রথম আলো চাঁদপুর প্রতিনিধি আলম পলাশ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাদিম পাটওয়ারী, রবিউল জোবায়ের ইসলাম আসিফ উপস্থিত ছিলেন।

লে.কর্নেল তাকবীর আবদুল্লাহ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে আমরা কীভাবে বেরিয়ে আসব সে লক্ষ্যে আমাদের এক সঙ্গে বসা। একেবারে গ্রাম থেকে আমাদের নিরাপত্তার কাজটি শুরু করতে হবে। কারণ আমি জেলার উপজেলায় ঘুরে দেখেছি। লোকজন আমাদের দেখলে চলে যায়, আমরা চলে আসলে আবার ফিরে আসে। এরপরই আমাদের কাছে নানা ঘটনার বিষয়ে ফোন আসে। তবে অন্য জেলার তুলনায় চাঁদপুরের পরিস্থিতি ভালো আছে। সবাই যেন বলে আমাদের মধ্যে সহমর্মিতা আছে।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, গত দুদিনে সুযোগ সন্ধানীরা এসব সহিংস কাজ করেছে। আমরা জনগণের সেবা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই।

পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কোনো ব্যক্তির দায় পুলিশ বিভাগ নেবে না। যারা জুলুম নির্যাতন করেছে, তাদের বিষয়ে অভিযোগের আলোকে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের পুলিশে আইজিপিসহ পরিবর্তন এসেছে। উনারা দায়িত্ব নেয়ার পর যেভাবে নির্দেশনা দিবেন সেভাবে আমরা কাজ করবো।

জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহম্মেদ মানিক বলেন, যারা অন্যায় কাজে জড়িত তাদের ধরার জন্য আমার দল থেকেই আপনারা কাজ শুরু করেন। যারা অপরাধী তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নাই। তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। পৌরসভায় ইউনিয়ন পরিষদে দালালরা থাকবে না। সেখানে প্রয়োজনে প্রশাসক নিয়োগ দেন। তাদের দেখলে আবারও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। শহর ইউনিয়ন পর্যায়ে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়েও তিনি জোর দেন। হবে।

জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রহিম বলেন, সহিংসতা নিরসন মানুষের মন থেকে আতঙ্ক দূর করার জন্য প্রত্যেক মসজিদে জেলা প্রশাসক সমন্বয় করে বার্তা পাঠানো উচিত। যাতে কোনো ধরনের উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমরাও বাহিরের কর্মসূচি স্থগিত রেখেছি।

ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/পিএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :