উপস্থাপিকা দীপ্তির কাছে লিখিত ক্ষমা চাইলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৪, ২০:৫৪ | প্রকাশিত : ১২ আগস্ট ২০২৪, ২০:৪১

টকশোতে উপস্থাপিকাকে ‘রাজাকারের’ বাচ্চা বলে গালি দেওয়ার ঘটনায় লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক বিচারপতি এইচ এম শাসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

সোমবার একটি আইনি নোটিশের জবাবে তিনি নিজেকে হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিশের রোগী দাবি করে ওই ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন, ওই সময়ে তিনি নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন।

সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের বিশেষ একটি অনুষ্ঠান ‘টু দ্য পয়েন্টে’ আমন্ত্রিত আলোচক ছিলেন সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। অতিথি হিসেবে আরও ছিলেন সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি। অনুষ্ঠানে কথা বলার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন শাসুদ্দিন মানিক। অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীকে রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেন। ঘটনাটি ভাইরাল হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক এই বিচারপতি।

এর আগে টকশোতে উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে গত রবিবার সাবেক বিচারপতি মানিককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।

নোটিশে বিচারপতি মানিককে প্রকাশ্য ও লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। নতুবা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়।

এরই প্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি মানিক লিগ্যাল নোটিশের জবাবে অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজের কাছে লিখিতভাবে এ ক্ষমা প্রার্থনা করে চিঠি পাঠান।

লিখিত জবাবে বিচারপতি মানিক লিখেছেন, তিনি একজন হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিসের রোগী। ঘটনার দিন তার ব্লাড সুগার নেমে যায় ও ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়। যার কারণে তিনি তার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি তার এরূপ আচরণের জন্যে উপস্থাপিকার কাছে গভীরভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে তিনি জাতির কাছেও ক্ষমা চান।

কোটা আন্দোলন ইস্যুতে আয়োজিত টকশোতে আলোচক হিসেবে অংশ নেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও গোলাম মাওলা রনি। কিন্তু আলোচনার একপর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে সঞ্চালক দীপ্তি চৌধুরীর ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে স্টুডিও ছাড়ার আগে উপস্থাপিকাকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দেন। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, আলোচনা শেষে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার আগ মুহূর্তে বিচারপতি মানিক বলে ওঠেন, ‘সে তো রাজাকারের বাচ্চা।’ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে সঞ্চালক দীপ্তি বলেন, ‘আপনার কোনো অধিকার নেই আমাকে রাজাকারের বাচ্চা বলার। আমি একটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান।’ তখন বিচারপতি মানিক বলেন, ‘অবশ্যই। একশবার অধিকার আছে। আপনি রাজাকারের বাচ্চা।’

এর আগেও তিনি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে স্বঘোষিত রাজাকার বলেছেন। এছাড়াও নানা সময়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে তিনি সমালোচিত হয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

গণমাধ্যম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

গণমাধ্যম এর সর্বশেষ

৫২ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে হয়রানি বন্ধে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়ে ভারতের চার সাংবাদিক সংগঠনের চিঠি

ইউএনবির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান মারা গেছেন

এক দশক পর দেশে ফিরে সিজদায় লুটিয়ে পড়লেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল

‘হাসিনা সরকারের পতনে একটু হলেও অবদান রেখেছি, মামলা থেকে মুক্তি কেন নয়?’

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী এক দশক পর দেশে ফিরছেন

হ্যাকারদের কবলে প্রথম আলো অনলাইন 

গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সব কালাকানুন বাতিল দাবি

গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত করার দাবি

কালের কণ্ঠের সম্পাদক হলেন কবি হাসান হাফিজ

নিউজ টোয়েন্টি ফোরের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হলেন কাদের গনি চৌধুরী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :