জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ বিদায়ী সরকারের কাউকে ছাড় নয়, বললেন আইন উপদেষ্টা
সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ‘গণহত্যার’ বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আওতায় করা সম্ভব বলে মনে করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বুধবার সকালে নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আওতায় ২০২৪ এর গণহত্যার বিচার সম্ভব। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত টিম কাজ করবে।”
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ শেখ হাসিনা সরকারের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বিদায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রীকেও না।”
“গণহত্যা এবং গুলিবর্ষণ এই সমস্ত ঘটনার জন্য কিছু মামলা হয়েছে” জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, “রাজপথে থাকা বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, জনগণের বিভিন্ন গোষ্ঠী দাবি করেছেন, এটাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিচার করার স্কোপ আছে কি না।” সেটা সেটা খতিয়ে দেখেছেন বলে জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “১৯৭৩ সানের যে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট আছে, যেটা পরে ২০০৯ ও ২০১৩ সালে সংশোধন হয়েছে, সেই আইনে আমরা জুলাই গণহত্যা, জুলাই গণহত্যা বলতে আমরা অগাস্টের প্রথম পাঁচ দিনের গণহত্যাও বোঝাচ্ছি, এটার জন্য দায়ী যে ব্যক্তিবর্গ আছেন, তাদের বিচারের জন্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উনাদের বিচারের জন্য আমরা ইতোমধ্যে একটা ছোটখাটো গবেষণার মতো করেছি।”
এই আইনের অধীনে জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা, যারা আদেশ দিয়েছেন, বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব” বলে জানান উপদেষ্টা।
সুনির্দিষ্টভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ওইসব ঘটনার বিচারের উদ্যোগ নিচ্ছে কি না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “আইসিটিতে বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে, এটা ক্যাটাগরিকালি বলতে পারেন।”
এন বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “বিদায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যদেরও যদি কমান্ড রেসপনসিবিলিটি থাকে, আমরা সেটাও খতিয়ে দেখব।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত টিম এবং প্রসিকিউশন টিম পুনর্গঘটন করা চেষ্টা চলছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। বলেন, “জাতিসংঘ থেকে বারবার আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিচারের সত্যিকারের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের সর্বাত্মক তত্ত্বাবধানে আমাদের ইনভেস্টিগেশন টিম কাজ করবে।”
(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/এফএ)