স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে আন্দোলনের ২১ দিনে নিহত ৬৩১ জন, আহত ১৯২০০
কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের আন্দোলনে গত ১৫ই জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ২১ দিনে অন্তত ৬৪০ জন নিহত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ সময়ে আরও প্রায় ১৯ হাজার ২০০ জন আহত হয়েছেন ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আন্দোলনে হতাহতদের পরিপূর্ণ তালিকা তৈরি করতে গত ১৫ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে। গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে এই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ও কমিটির প্রধান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এটি একটি খসড়া তালিকা। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এর তথ্য আরও আপডেট করছেন। আরও তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। যেহেতু লোকগুলো চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে গেছে তাই তাদের তথ্য সঙগ্রহ করতে সংগ্রহ করতে সময় লাগছে। ৫ তারিখ পর্যন্ত অনেকে সঠিক তথ্য দেয়ও নি।’ ফলে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেতে আরও মাস খানেক সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল এবং এই ২১ দিনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮১ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আন্দোলনে ২১ দিনে আহত হয়েছেন ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে ১৬ হাজার জনের বেশি সরকারি হাসপাতাল এবং অন্তত তিন হাজার জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে নিহতে সংখ্যা সর্বোচ্চ। এ বিভাগে নিহত হয়েছেন ৪৭৭ জন। নিহতের সংখ্যা সবচেয়ে কম বরিশালে একজন। চট্টগ্রাম ও খুলনায় নিহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৩ ও ৩৯ জন। অপরদিকে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। চট্টগ্রামে আহতের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুই হাজার।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি গুরুতর আহত তিন হাজার ৪৮ জন। আঘাতের কারণে স্থায়ীভাবে শারীরিক অক্ষম হয়ে পরেছেন অন্তত ৫৩৫ জন।
(ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/এমআর)