৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টি, ডুবে গেছে কক্সবাজার, আরও পাহাড়ধসের শঙ্কা
ভারী বর্ষণের কারণে পর্যটন শহর কক্সবাজারের অলিগলিসহ হোটেল-মোটেল জোন ডুবে গেছে। চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন পর্যটকসহ শহরবাসী। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। ভারী বৃষ্টি চলতে থাকায় বন্যা ও পাহাড়ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎবিহীন উখিয়া-টেকনাফ। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও খাবার পানির সংকট।
পর্যটন শহরের কলাতলী ডলফিন মোড় থেকে শুরু হয়ে সুগন্ধা, লাবণী, বাজারঘাটা, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, গোলদীঘিরপাড়, বার্মিজ মার্কেট, টেকপাড়াসহ হোটেল-মোটেল জোনের কোথাও হাঁটুপানি কোথাও কোমরপানিতে ডুবে গেছে। পানি ঢুকে পড়েছে হোটেল-মোটেল জোনের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, গেস্ট হাউজ, কটেজ, রেস্টুরেন্টসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
এ ছাড়া শহরের নিম্নাঞ্চল সমিতি পাড়া, নাজিরারটেক, কুতুবদিয়া পাড়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে। সদরের ঝিলংজা, উপজেলা গেইট, বাংলাবাজার, মোক্তারকুল, ডিককুল এবং পিএমখালীর নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে।
রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি, খুনিয়া পালং, টেকনাফের সদর ইউনিয়ন, হ্নীলার রঙ্গিখালী, লেদা, হোয়াব্রাং, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা, উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং, জালিয়াপালং, রত্না পালং রাজাপালং ও পালংখালী ইউনিয়নে অন্তত ৪০ গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।
জেলার উপকূলীয় এলাকার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। আমন চাষাবাদ, ফসল ও পান বরজ ব্যাপক ক্ষতির মুখে। তীব্র ঝড়ো বাতাসে কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গ্রামীণ অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিধ্বস্ত। পুকুর ও প্রজেক্ট ডুবে মৎস্য বিরাট ক্ষতির সামনে।
এদিকে অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধ্সের আশঙ্কা বেড়েছে। ইতোমধ্যে শুক্রবার ভোররাতে কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ ডিককুল এবং উখিয়ার হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর ক্যাম্পে পাহাড়ধসে দুই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলাজুড়ে ভারী বৃষ্টি চলতে থাকায় নতুন করে বন্যা ও পাহাড়ধসের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অপরদিকে বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে উখিয়া-টেকনাফ। সেখানকার মানুষ পানিবন্দি। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও খাবার পানির সংকট।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি বাতাসের তীব্রতা বেশি থাকবে যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/মোআ)