কলিং ভিসা চালু, বাংলাদেশিদের জন্য উন্মুক্ত হলো মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:৪৬

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ থাকা কলিং ভিসা চালুর খবর পাওয়া গেছে। এর ফলে দেশটির পাম বাগানে শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশি কর্মীরা যেতে পারবে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মালেশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। মালয়েয়িশয়ার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ‘চাহিদাপত্র’ সত্যায়ন করার ঘোষণার মধ্যে দিয়ে বন্ধ থাকা কলিং ভিসা আবারো চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করল বাংলাদেশ হাইকমিশন।

চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়া বিদেশি কর্মী নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার বিষয়টি এবারই জানা গেলে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এমন সিদ্ধান্তের কথা জেনে উৎফুল্ল মালয়েশিয়াস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিরাও উৎফুল্ল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে মালয়েশিয়া সরকার নতুন করে তাদের প্ল্যান্টেশন সেক্টরে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের কোটা অনুমোদন করা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে প্ল্যান্টেশন সেক্টরের চাহিদাপত্র ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সত্যায়ন করা হচ্ছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র সত্যায়নের জন্য উল্লেখিত বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া তথ্যাদি বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

দেশটির নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে সেগুলো হলো—

কোম্পানির অনুমোদনপত্র (কমপক্ষে কোম্পানির একজন কর্মচারী হতে হবে ম্যানেজার পর্যায়ে), সত্যায়ন ফি’র মূল ব্যাংক স্লিপ, শ্রমিকদের সবশেষ বেতন স্লিপ (চার/পাঁচজন শ্রমিকের নমুনা বেতন স্লিপ), কোম্পানির পটভূমি তথ্যের একটি প্রোফাইল যেখানে উল্লেখ থাকবে বিদ্যমান শ্রমিকের সংখ্যা (দেশী ও বিদেশী), শ্রমিকদের দুই/তিনজনের ফোন নম্বর, কোম্পানির ব্যাংক স্টেটমেন্ট (বিগত তিন মাসের) যেখানে ১০০ শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম ব্যালেন্স থাকতে হবে দুই লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত।

এছাড়াও বিদেশিখ শ্রমিক ক্ষতিপূরণ প্রকল্পের সকসো নথি (বিদ্যমান কর্মীদের নমুনা নথি), বিদেশি কর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি এবং সার্জিকা এক স্কিম (এসপিআইকেপিএ) (এসকেএইচপিপিএ)-এর নথি (বিদ্যমান শ্রমিকদের নমুনা নথি), বিদ্যমান শ্রমিকদের আবাসন সম্পর্কে জেটিকে অনুমোদিত সার্টিফিকেট, জমির মালিকানার দলিল/জমি ইজারা দলিল, প্রতিশ্রুতি/গ্যারান্টিপত্র, পরিচালকের স্বাক্ষরিত ডিমান্ড লেটার, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, কর্মসংস্থান চুক্তি, রিক্রুটিং এজেন্ট (বিআরএ) এবং কোম্পানির মধ্যে চুক্তি, মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোটা অনুমোদন পত্রসহ সকল নথির দুই সেট তৈরি করে এক সেট মূল এবং এক সেট অনুলিপি হিসেবে দিতে হবে।

এসব তথ্য পাওয়া গেলেই সংশ্লিষ্ট কোম্পানীকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

রোহিঙ্গা সংকট একটি তাজা টাইম বোমা: ড. ইউনূস

আসিয়ান সদস্য হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চায় বাংলাদেশ

ঢাকা ছাড়লেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, রেখে গেলেন সম্পর্ক উন্নয়নের বিশেষ বার্তা

মালয়েশিয়ার কাছে ‘অর্থনীতি সংস্কার’ ও জনশক্তি রপ্তানি সহায়তা চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি

মালয়েশিয়া যেতে না পারা বাংলাদেশি কর্মীদের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে: আনোয়ার ইব্রাহিম

আন্দোলনে আহত চক্ষু রোগীদের বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা

মালয়েশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা

হত্যা মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র

‘পুরোনো বন্ধুকে স্বাগত জানাতে পেরে খুবই খুশি’

৮ সদস্যের নির্বাচন সংস্কার কমিশন গঠন করে গেজেট প্রকাশ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :