জিবুতির উপকূলে নৌকা ডুবে ৪৫ জনের মৃত্যু
আফ্রিকা থেকে শরণার্থী ও অভিবাসী বহনকারী দুটি জাহাজ জিবুতির উপকূলে ডুবে গিয়ে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু এবং কয়েক ডজন নিখোঁজ হয়েছেন।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) মঙ্গলবার বলেছে, লোহিত সাগরে ডুবে যাওয়ার আগে নৌকাটি ৩১০ জন যাত্রী নিয়ে ইয়েমেন ছেড়ে গেছে।
‘আইওএম অনুসন্ধান এবং উদ্ধার অভিযানে রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবাগুলোকে সহায়তা করছে’ বলে সংস্থাটি এক্স-এ এক পোস্টে বলেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ৩২ জনকে জীবিত পাওয়া গেছে।
জিবুতির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, সোমবার ভোর থেকে একটি যৌথ উদ্ধার প্রচেষ্টা চলছে, ১১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং কয়েক ডজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, জিবুতির উত্তর-পশ্চিম খোর আঙ্গার অঞ্চলের কাছে একটি সৈকত থেকে নৌকাগুলো মাত্র ১৫০ মিটার (৪৯২ ফুট) দূরে ডুবে গেছে।
“আমরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে এবং জীবিতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আছি,” কোস্টগার্ড সাদা বডি ব্যাগের ছবিসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতিতে বলেছে।
এপ্রিলে লোহিত সাগরের ওপারে একই পথে যাওয়ার সময় জিবুতির উপকূলে নৌকা ডুবে যাওয়ার পরে শিশুসহ কমপক্ষে ৩৮ জন মারা গিয়েছিল। জুন মাসে কমপক্ষে ৪৯ জন মারা গিয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই ইথিওপিয়া এবং সোমালিয়া থেকে গিয়েছিল। নৌকাটি সোমালিয়া থেকে যাত্রা করার পরে ডুবেছিল।
হাজার হাজার মানুষ আফ্রিকা থেকে একটি ভালো ভবিষ্যত এবং সৌদি আরব ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে পৌঁছানোর জন্য প্রতি বছর লোহিত সাগর পাড়ি দেয়, যাকে মানবিক সংস্থাগুলো ‘বিশ্বে সবচেয়ে ব্যস্ত এবং সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন রুটগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বর্ণনা করেছে। ‘পূর্ব রুট’ নামে পরিচিত এ রুটে মানব পাচারকারীরা শরণার্থী এবং অভিবাসীদের বোঝাই জাহাজে চাপিয়ে দেয়, যারা আফ্রিকা থেকে ইয়েমেনের দিকে যাত্রা করে। সেখান থেকে তারা কাজের সন্ধানে উপসাগরীয় দেশগুলোতে যায়।
(ঢাকাটাইমস/২অক্টোবর/এফএ)