লেবানন থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার আহ্বান ববি হাজ্জাজের

এশিয়ার দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ লেবাননে প্রতিদিনই হামলা চালাচ্ছে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। হত্যা করছে শতশত মানুষ। এই অবস্থায় লেবানন থেকে বাংলাদেশি প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এনডিএম কর্তৃক আয়োজিত প্যালেস্টাইন এবং লেবাননে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ‘কালো পতাকা প্রদর্শন’ কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় ইসরায়েলকে বিশ্ব মানবতা এবং ইসলামের শত্রু আখ্যা দিয়ে ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘হান্টিংটনের সভ্যতার যুদ্ধ তত্ত্বের মাধ্যমে ইসলামকে পশ্চিমা শক্তির মুখোমুখি করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবান্তর এবং মুসলিম বিদ্বেষ চিন্তার অংশ। ফিলিস্তিনের গাজা, পশ্চিম তীর এবং লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েল যে বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা মানবতাবিরোধী জঘন্য যুদ্ধাপরাধ। ইসরায়েল এবং জায়নবাদ হলো মানবতা এবং ইসলামের শত্রু।’

তিনি বলেন, ‘জায়নবাদ আর বিজেপির হিন্দুত্ববাদ একসূত্রে গাঁথা। ভারতের সাথে আমাদের বিশাল বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের চারপাশে ভারত। প্রতিবেশী এই দেশের সাথে আমরা সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্বের সম্পর্ক চাইলেও বিজেপির হিন্দুত্ববাদ বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেবার চেষ্টা থাকলে সেটা সম্ভব হবে না।

ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ফ্যাসিবাবিরোধী আন্দোলনে থাকা সব রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের সাথে অর্থপূর্ণ আলোচনা করতে হবে, যা তাদের প্রথম দফা সংলাপে সম্ভব হয় নাই৷ মাত্র ২১ জনের উপদেষ্টা পরিষদ দেশের একটি কার্যকর সরকার ব্যবস্থা পরিচালনা করার জন্য যথেষ্ট নয়। আমাদের দায়িত্ব হলো বর্তমান সরকারকে সফল করে তোলা। পরাজিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা দেশে যে অরাজকতা শুরু করেছে এই সরকারকে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে তার মোকাবিলা করতে হবে।’

এসময় ববি হাজ্জাজ আহ্বান জানান, ‘লেবাননে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বা দেশে ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।’

এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিনের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলি আকন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব তফাজ্জল হোসেন মিয়াজিসহ এনডিএম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, যুব আন্দোলন এবং ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা।

(ঢাকাটাইমস/০৩অক্টোবর/জেবি/এজে)