আপিলে শাস্তি কমলো ৩০ মাস, চলতি মৌসুমেই ফিরবেন পল পগবা

ডোপ-বিরোধী বিধি ভাঙার দায়ে বিশ্বকাপ জয়ী ফরাসি মিডফিল্ডার পল পগবাকে চার বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইতালির ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং ট্রাইব্যুনাল (নিডো)। তবে এই রায়ের বিপক্ষে আপিল করেন পল পগবা।
অবশেষে সফল হলেন তিনি। পগবার আপিল আবেদনের প্রেক্ষিতে শাস্তির সময়সীমা কমিয়েছে ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট সালিশি আদালত (সিএএস)। ৪ বছরের শাস্তিকে ১৮ মাসে নামিয়ে এনেছে আদালত। পগবার শাস্তি কমানোর বিষয়টি রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন সালিশি আদালতের ডিরেক্টর ম্যাথিউ রিব।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ফুটবলের সব ধরনের কার্যক্রমের বাইরে গগবা। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আগামী বছরের জানুয়ারি থেকেই অনুশীলনে যোগ দিতে পারবেন পগবা। ৩১ বছর বয়সী এই তারকার মাঠে নামতে বাধা থাকবে না আগামী মার্চ থেকে। অর্থাৎ চলতি মৌসুমেই মাঠে দেখা যাবে এই বিশ্বকাপ জয়ী তারকাকে। ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসের সঙ্গে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি আছে তার।
এর আগে শরীরে টেস্টোস্টেরনের উচ্চ মাত্রা পাওয়া গেছে, এমন অভিযোগে গেল ফেব্রুয়ারিতে পগবা ৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে নিডো। টেস্টোস্টেরন এমন একটি উপাদান, যা শরীরে শক্তি বাড়ায় এবং একজন খেলোয়াড়কে বেশিক্ষণ সময় মাঠে সতেজ থাকতে সহায়তা করে।
আপিল আবেদনে নিজের পক্ষে ফল পেয়ে পগবা বলেন, ‘অবশেষে দুঃস্বপ্ন শেষ হলো। আমি সেই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম, যখন আবার স্বপ্নগুলো অনুসরণ করতে পারি।’
পগবা আরও বলেন, ‘সমসময় বলেছি যে, আমি যখন একজন ডাক্তারের পরামর্শে নির্ধারিত পুষ্টিকর খাদ্য পরিপূরক গ্রহণ করি তখন আমি জেনেশুনেই করি। কখনই বিশ্ব ডোপিং বিরোধী সংস্থার নিয়ম লঙ্ঘন করিনি। এমন খাবার গ্রহণ করি, যা পুরুষ ক্রীড়াবিদদের কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করে না বা বাড়ায় না।’
তিনি বলেন,‘আমি সততার সঙ্গে খেলি। যদিও আমাকে স্বীকার করতে হবে যে, এটি একটি কঠোর দায়বদ্ধ অপরাধ। সালিশি আদালতের ক্রীড়া বিচারকদের ধন্যবাদ, যারা আমার ব্যাখ্যা শুনেছেন।’
পগবা আরও বলেন, ‘এটি আমার জীবনের একটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক সময় ছিল। কারণ, আমি যা কিছুর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি তা আটকে রাখা হয়েছে।’
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছয় মৌসুম কাটানোর পর ২০২২ সালে ফ্রি ট্রান্সফারে পুরোনো ঠিকানা জুভেন্টাসে ফেরেন ফরাসি এই তারকা। তারপর থেকে একের পর এক চোটে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।
(ঢাকাটাইমস/০৫ অক্টোবর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন