যানজট ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যার্থ, দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত ইসলামী যুব আন্দোলন

রাজধানীর তীব্র যানজট নিরসনে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এই জানজটের রহস্য উদ্ঘাটন করে দ্রুতই সমাধান না করতে পারলে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে জনমনে অনাস্থার সৃষ্টি হবে। অসহনীয় এই যানজটের পেছনে পতিত ফ্যাসিবাদি শক্তির ইন্ধন থাকতে পারে বলে মনে করছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম।
তিনি বলেন, ট্রাফিক পুলিশের গাফলতি এবং এনালগ সিস্টেমে ট্রাফিক কন্ট্রোলেরও দায় রয়েছে। সরকারকে দ্রুতই এর কারণ খতিয়ে দেখে ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে যানজট নিরসন ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আল আমিন সোহাগের সভাপতিত্বে ও নগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইকবাল হোসাইনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন বলেন, ‘সরকার চাইলে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রশিক্ষিত জনশক্তি ট্রাফিক কন্ট্রোলে কাজ করবে। স্বৈরাচার পতনের পর ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশসহ পীর সাহেব চরমোনাইর কর্মীবাহিনী দক্ষতার সাথে দীর্ঘদিন ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছে। আবারো দেশের প্রয়োজনে আমরা যেকোনো দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত রয়েছি।’
যুবনেতা মাওলানা নেছার উদ্দিন আরও বলেন, ‘সরকার এখনো সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে সক্ষম হয়নি। যার ফলে হু হু করে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এমন দেশ তো আমরা চাইনি। দেশের সংকটে আমরা সবাই যেমন লড়েছি, অভাব হলে সবাই মিলে কষ্ট করতেও রাজি আছি। কিন্তু একদল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে পুরো জাতি কষ্ট করবে এটা মেনে নেয়া যায় না। অচিরেই এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে। সরকার ব্যর্থ হলে আমাদেরকে বলুন, আমরা প্রবল ক্ষমতাধর স্বৈরাচারকে দেশ থেকে তাড়িয়েছি, কতিপয় সিন্ডিকেটবাজকে সহজেই শায়েস্তা করতে পারব ইনশাআল্লাহ।’
সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী বলেন, ‘যখন তীব্র গরম ও জানজটে মানুষ অতীষ্ট, ট্রাফিক পুলিশরা তখন গল্প গুজব ও মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। পুলিশ কেন কাজে যথাযথ ফাংশন করছে না, এটা খুঁজে বের করা জরুরি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা অভয় দিচ্ছি, আপনারা সাহসিকতার সাথে সংস্কার চালিয়ে যান। অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে দেশের উন্নয়নে কাজ করুন, পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও তার সকল সহযোগী সংগঠন আপনাদের পাশে থাকবে।’
অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ আবু বকর সিদ্দীক, কেন্দ্রীয় উপসম্পাদক কে এম শামিম আহমদ, নগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মুফতি শওকত উসমান, কে এম নাসির উদ্দীন, মুহাম্মদ কবির আহমদ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে দেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, স্বৈরাচারের দোসরদের পালিয়ে যাওয়া, পাহাড়ে অশান্তি, নতুন করে একদল চাঁদাবাজের দৌরাত্ম এবং হলদখল ও সিন্ডিকেট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
(ঢাকাটাইমস/১০অক্টোবর/এসআইএস)

মন্তব্য করুন