কুমিল্লায় সালিশি বৈঠকে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

কুমিল্লায় পাওনা টাকা নিয়ে সালিশি বৈঠক চলাকালে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এসময় আরো তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে জেলার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, নবীপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর হোসেন (৫০) ও তার ছেলে আক্তার হোসেন (৩০) এবং জসিম উদ্দিন (৫৫)। আহতরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে মারুফ নামে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। আহত আক্তারের স্ত্রী রাবেয়া জানান, তার ননদ নিলুফা বেগম উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের শিরিনা বেগমের থেকে ১০ হাজার টাকা ধার আনেন। ধারের টাকা দিতে না পারায় এই টাকার জন্য বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। পাওনা টাকার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে তার ননদ ও স্বামীকে তুলে নেয়ার জন্য শিরিন ৮-১০ জনের একটি বখাটে দল নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়িতে আসে। এসময় আমাদের সাথে তাদের হাতাহাতি হয়। এরপর স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে নিয়ে নবীপুর বাজারে কামাল মাস্টারের অফিসে সালিশ বৈঠক বসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সালিশ চলাকালে অফিসের বাইরে শিরিনা বেগমের সাথে আসা মারুফ, মারফতসহ কয়েকজন রাবেয়া বেগমকে লাথি মেরে ফেলে দেন। এসময় রাবেয়ার স্বামীর বন্ধু রাজিব রাবেয়াকে উঠাতে গেলে মারুফ, মারফত কোমর থেকে ছুরি বের করে রাজিবের বুকে ও শরীরে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আঘাত করতে থাকে। এসময় রাজিবকে বাঁচাতে আসলে তার বন্ধু আক্তার হোসেন ও তার বাবা মোজাফ্ফর এবং কাকা জসিম উদ্দিনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় স্থানীয়রা মারুফ নামের একজন হামলাকারীকে আটক করে এবং আহতদের উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিব হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক বলেন, হত্যার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
(ঢাকা টাইমস/১১অক্টোবর/এসএ)

মন্তব্য করুন