মোহাম্মদপুরে দিনদুপুরে গাড়ি থামিয়ে ১২ লাখ টাকা ছিনতাই

দিনদুপুরে গাড়ি থামিয়ে বহুজাতিক একটি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে৷
রবিবার সকাল ১০টার দিকে নেসলের গাড়িতে থাকা প্রায় ১২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এসময় দুর্বৃত্তরা ওই গাড়িতে থাকা চেকের পাতাও ছিনিয়ে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোয়া ১০টার দিকে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ সড়ক হয়ে মোহাম্মাদীয়া হাউজিং লিমিটেড ৩ নম্বর সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল নেসলে কোম্পানির পণ্য পরিবহনকারী একটি গাড়ি। লিমিটেড ৩ নম্বর সড়কের কালভার্টের সামনে আসতেই চারটি মোটরসাইকেল গাড়িটির গতিরোধ করে। এ সময় মোটরসাইকেলের আরোহীরা তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গাড়ির সামনের গ্লাসে আঘাত করেন। এতে গ্লাস চুরমার হয়ে যায় এবং চালক গাড়িটি থামাতে বাধ্য হয়।গাড়িচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, 'আমরা গাড়িতে তিনজন ছিলাম। আমি ও আমার সহকারী শরীফ পণ্য ডেলিভারি দিতে যাচ্ছিলাম। আমাদের সঙ্গে অফিসের হিসাব বিভাগের সাইফুল গাড়িতে করে শ্যামলী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ লিমিটেড ৩ নম্বরে কালভার্টের সামনে আসতে অস্ত্র হাতে কয়েকজন আমাদের থামতে বলে। গাড়ি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে গ্লাসে এলোমেলো কোপায়। আমরাও আঘাত পাইছি। গাড়িতে টাকার ব্যাগ ছিল, চেক ছিল, সব নিয়ে গেছে।'
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, 'বাইক ছিল মোট চারটা। এর মধ্যে এক বাইকে ছিল চারজন, দুইটায় তিনজন। আরেকটায় দুজন। সবার হাতে রামদা, চাপাতি ছিল। ঘটনাটা সবার সামনে ঘটছে, কেউ বাধা দেয়নি, কেউ এগিয়েও আসেনি। ওই সময় রাস্তায় এত লোক ছিল, যদি সবাই এগিয়ে আসতো, ডাকাতরা ডাকাতির সুযোগ পেতো না, বরং ধরা পড়ত।'
এদিকে স্থানীয় ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ডাকাতির পর জনসম্মুখেই পালিয়ে গেছেন ডাকাতরা। মোটরসাইকেলে বেড়িবাঁধ সড়ক ধরে ঢাকা উদ্যান এলাকার দিকে যেতে দেখা যায় তাদের।স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটিয়েছে ঢাকা উদ্যান ও সাত মসজিদ হাউজিং এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান ঢাকাটাইমসকে বলেন, হাউজিং লিমিটেড ৩ নম্বরে নেসলে কোম্পানির একটি গাড়ি থেকে নগদ ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও কিছু চেকের পাতা ছিনতাই হয়েছে। ঘটনার পরপরই আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ভুক্তভোগীরা কোম্পানির লোকজন থানায় এসেছে তারা লিখিত অভিযোগ দিচ্ছেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/এসএস)

মন্তব্য করুন