মেঘনার কুখ্যাত নৌ-ডাকাত সর্দার বাবলা নিহত

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীর ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অবৈধ বালু উত্তোলনের একক নিয়ন্ত্রক নৌডাকাত বাবলা বাহিনীর প্রধান বাবলা ওরফে উজ্জ্বল খালাসী অন্তঃকোন্দলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় একাধিক গুলিবিদ্ধ পাঁচ নৌডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ২২ (অক্টোবর) সকাল আটার দিকে উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত মল্লিকেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার পুলিশ।
ডাকাত সর্দার বাবলা মল্লিকের চর গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে রহিম বাদশার দোতলা বাড়িতে গত কয়েক মাস ধরে অবস্থান করছিলেন বলে জানা যায়।
নৌডাকাত বাবলা চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মোহনপুর এলাকার বাচ্চু খালাসীর ছেলে। তার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ ২৫টি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নৌডাকাত বাবলা মল্লিকের চরে রহিম বাদশার বাড়িতে থেকে দীর্ঘদিন ধরে গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ সদর, চাঁদপুর এলাকায় বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ করতেন। অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করতেন তিনি। বৈধ ইজারাদারদের কাছ থেকেও তুলতেন চাদাঁ।
মুন্সীগঞ্জ সদর, গজারিয়া, মতলব, চাদঁপুর, শরিয়তপুর এলাকার পদ্মা-মেঘনা নদীতে বাবলা গড়ে তোলেন সশস্ত্র ডাকাত দল। বেপরোয়া চাঁদাবাজি, লুটতরাজ করেন এসব অঞ্চলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘সকাল আটটার দিকে আমি গরুর ঘাস কাটার জন্য নৌকা নিয়ে রহিম বাদশার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় দেখি দুটি স্পিডবোড ও দুটি ইঞ্চিন চালিত ট্রলার নিয়ে হেলমেড পরে ২০-২৫ জন লোক রহিম বাদশার বাড়ির সামনে এসে নামে। এ সময় রহিম বাদশার বাড়ির সামনে গুলি ছুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। পরে তারা রহিম বাদশার পাকা ভবনের দোতলায় উঠে বাবলাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। তবে ওই ভবনের দরজা বন্ধ করে নয়জনকে আটক করে ফেলে স্থানীয় লোকজন।
এই ঘটনায় বাড়ির মালিক রহিম বাদশা (৫৫), আক্তার হোসেন (৩৮) ও লিটন মিয়াজী (৪০) গুলিবিদ্ধ হন।
এদিকে মেঘনা নদী তীরবর্তী গ্রামের সাধারণ মানুষ তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় উল্লাস করছে। পুরো মেঘনা নদী তীরবর্তী গ্রামের মানুষ বাবলা ডাকাতের কাছে জিম্মি ছিল বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ইমামপুর ইউনিয়নের মল্লিকের চর এলাকায় বাবলাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় সেখানে পুলিশ পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। এই কুখ্যাত নৌডাকাতের বিরুদ্ধে গজারিয়াসহ বিভিন্ন থানায় ২৫টি ডাকাতি ও চাদাঁবাজি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।
(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/মোআ)

মন্তব্য করুন